Type to search

‘প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ব্রেক দিলেও করোনা কাউকে ব্রেক দিবে না’

রাজনীতি

‘প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ব্রেক দিলেও করোনা কাউকে ব্রেক দিবে না’

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্রদানে যেন স্বজনপ্রীতি না হয় এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে পৌঁছায় সেদিকে কঠোর সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক, পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে, নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের সহায়তা, গ্রামীণ কর্ম-সৃজন, পর্যটনখাত এবং পরিবহণ শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে তালিকাভূক্ত হয় সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

লকডাউন শিথিল করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা এবং ঈদকে ঘিরে অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের এই উদ্যোগ। মনে রাখতে হবে সাময়িক এ বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগ নিয়ে আমরা যেন গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসাই। এ পরিস্থিতিতে নিজেই হতে হবে নিজের রক্ষক। নিজেদের উদাসীনতা এবং অপরিনামদর্শীতায় উৎসবের যাত্রা যেন জীবনের শেষ যাত্রায় রূপ না নেয়।

ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ব্রেক দিলেও কাউকে করোনা ব্রেক দিবে না, প্রাণঘাতি রূপ নিয়ে সংক্রমণ ছড়াবেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই শতভাগ মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই। বিধিনিষেধ শিথিল করায় আগামীকাল থেকে সারাদেশে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহণ চলাচল করবে। ইতিপূর্বের ধারাবাহিকতায় সমন্বয়কৃত ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করবে।

মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, পরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো করোনার বর্তমান সংক্রমণ মাথায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধিসহ শর্তসমূহ মেনে যানবাহন পরিচালনা করবেন। শর্ত অমান্যকারী এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী পরিবহণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জেের অগ্নি দুর্ঘটনায় সরকার যখন আন্তরিকভাবে কাজ করছে তখন বিএনপি তাদের একমাত্র সম্বল বক্তৃতা-বিবৃতিবাজি করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, তারা ঘটনার ছয়দিন পরে রূপগঞ্জেে গিয়ে এটা করতে হবে, সেটা করতে হবে বলে নানান কথার ফুলঝুড়ি ছড়াচ্ছে। এসব বিএনপির চিরাচরিত অপরাজনীতিরই ধারাবাহিকতা। বিএনপির ঘরবন্দি রাজনীতি এবং বিদ্বেষ ছড়ানো বাক্যবান দেশের সুস্থধারার রাজনীতি চর্চার পরিবেশকে দূষিত করছে। সবকিছু নিয়ে অতি-রাজনীতি করতে গিয়ে বিএনপি জনগণের কাছে দিন দিন অপাংক্তেয় হয়ে যাচ্ছে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ