Type to search

পদ শূন্য দেখিয়ে দাখিল মাদ্রাসার নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ

অভয়নগর

পদ শূন্য দেখিয়ে দাখিল মাদ্রাসার নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ

মাদ্রাসার সভাপতি, সুপার, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের নামে মামলা
প্রতিনিধি, যশোর
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলী গোপিনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসায় পদ শূন্য দেখিয়ে নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্যদের সভাপতি, সুপার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের নামে মামলা হয়েছে।
মাদ্রাসার নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিন বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার অভয়নগর সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেছেন। আদালতের বিচারক সুমনা পাল মামলাটি আমলে নিয়ে এক দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিন ২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর নাউলী গোপিনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসায়  নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান করেন। তিনি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এমপিও(মান্থলি পে অর্ডার) ভুক্ত কর্মচারি। ২০১৯ সালের ১০ মে তাঁর মা হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে মৌখিকভাবে ছুটি দেন। ঢাকায় মায়ের চিকিৎসা শেষে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরদিন ৯ আগস্ট তিনি মাদ্রাসায় গেলে সুপার তাঁকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেননি। এরপর মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির কারণে সুপার তাঁকে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন। কিন্তু সুপার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে উপস্থাপন করেননি। এরপর সুপার তাঁর কাছে চার লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফারুক খানের কাছে যান। ফারুক খান সুপার আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে চার লাখ টাকার পরিবতে দুই লাখ টাকা দিতে বলেন। এস এম খালিদ জাহাঙ্গীর শাহিন টাকা প্রদানের জন্য সময় চান। এরপর সময় না দিয়ে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে তিনি পুনরায় সভাপতির কাছে গিয়ে টাকা প্রদানের জন্য সময় চান। সভাপতি তাঁকে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেন। এরপর ২০২০ সালের ২০ জুলাই থেকে তাঁর বেতন নিয়মিত করে দেওয়া হয়। কিন্ত  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি টাকা দিতে পারেননি। এ কারণে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পুনরায় তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে অব্যাহতি না দিয়ে ওই পদ শুন্য দেখিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরপর গোপনে বৈঠক দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। গত ২৮ আগস্ট নিয়োগ বোর্ড নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অভয়নগর উপজেলার হিদিয়া গ্রামের মিন্টু বিশ্বাসকে  নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।

মামলার বাদীর আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নাউলী গোপিনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসায় নিম্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু গোপনে তাঁর পদ শূন্য দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে অন্য একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এক দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন।