Type to search

ধুলিহর হাজীখালি খালে  অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগঃ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা। 

সাতক্ষীরা

ধুলিহর হাজীখালি খালে  অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগঃ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা। 

শেখ নাজমুল হাসান মিঠু সাতক্ষীরা প্রতিনিধি   :
সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে সাতক্ষীরা   সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের হাজিখালি বিলের সরকারি খালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মাণ করার খবর পাওয়া গেছে ।
সরেজমিনে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি বিশেষ মহল প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পরিবেশ ও সরকারী আইন বিরোধী অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন  করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, ভালুকা চাঁদপুর ও কোমরপুরের হাজীখালি বিলের আবাদি জমির প্রাণ হাজীখালি খালে সম্পুর্ন অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে খালের দু’পাশের জমিতে ধ্বস নেমে আবাদী জমি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে ।অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য খালের  দু’পাশের জমির মালিকরা স্থানীয়  চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললেও  হয়নি কোন সুরহা, বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন পূর্বক রাস্তা ভরাটের কাজ। দীর্ঘদিন দখলে থাকা সরকারি খাস জমিতে মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার গৃহ হীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হবে এই মিথ্যা স্লোগান দিয়ে সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের  ড্রেজারার মেশিন মালিক আসমাতুল্লাহর সাথে কথা বললে তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও পিআইও স্যার তাকে নিয়ে এসেছেন এবং এই জায়গাটাতে নতুন গ্রাম হবে “মুজিব নগর” তাই প্রশাসন কিচ্ছু করতে পারবে না । স্থানীয়রা এক্ষেত্রে নির্বাক দর্শকের ভুমিকায় থাকলেও সাংবাদিকদের নিকট বালু উত্তোলন বন্ধে সাহায্য চেয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে  দু’পাশের জমির মালিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রতি বর্গফুট জমি ভরাট করার জন্য সরকারের বরাদ্দ ১৮টাকা। অথচ সরকারের এই বরাদ্দ লুটেপুটে খাওয়ার জন্য প্রতি বর্গফুট জমি মাত্র ৭৫ পয়সা চুক্তিতে ড্রেজারার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন  পূর্বক ভরাট করছে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম। বর্তমান সরকার যেখানে আবাদি জমি রক্ষার্থে বদ্ধপরিকর, সেখানে এই ধ্বংসাত্মক দুর্নীতির মহোৎসব চলছে কার স্বার্থে? বিষয়টি জানতে চাইলে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান- সরকারি রাস্তা তৈরি করতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছি  আমি ও পিআইও ইয়ারুল ইসলাম। খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় ক্ষতিগ্রস্থ জমির  মালিকরা আমার কাছে আসছিল। আমি ওদেরকে বুঝিয়ে বলেছি, আপনারাও একটু বুঝিয়ে বলুন। আমি ইতিমধ্যে ড্রেজার মেশিন খালের অন্যদিকে সরিয়ে নিয়েছি।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিনিধি কে জানান -ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিষয়টি আমি দেখছি। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে আবাদি জমি রক্ষার্থে এবং অত্র এলাকাকে অদূর ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদমুক্ত করতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসনের  জরুরি  হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।