Type to search

দুঃস্বপ্নের ফেনিল

সাহিত্য

দুঃস্বপ্নের ফেনিল

বিলাল মাহিনী
এই যে এক মূহুর্তের জন্য,
একটি ক্ষণ, তোমায় ভালোবেসেছি,
এতোটুকুতেই হেসেখেলে কেটে যাবে জীবন ;
ননিতা, এখনো কি পড়ার ফাঁকে
অশ্রু মোছো কপলের?
তোমায় তো হারিয়েছি, কোনে এক ভাদ্দুরে ভাটির স্রোতে
কাগজের নৌকার মতো ভেসে ভেসে হারিয়েছিল আমাদের বাসন্তী স্বপ্নডিঙ্গি!
একে একে বিস্মৃতি হলো-
কতো শতো রঙিন পাপড়ি, পাপিয়া, সোনামনি, মোনাপরী, পরীমনি
কেউ বিক্রি হলো ডলারে,
কেউবা স্বর্নালি অলঙ্কারে
কেউ খুঁজে নিলো বিজিবি ব্যারাকের সৈনিক
কেউ পড়লো ভার্সিটিমেটের প্রেমে
কেউবা আবার পরিবারের শাসনে!
ননিতা, এখন আর খুঁজি না তোমায়
শুধু হাতড়ে বেড়াই-
ফেলে আসা রঙিন মখমলে গোধূলি, সান্ধ্য চাঁদ, রাত জাগা ভোর, শিশির ভেজা ঊষা
এখনো খুঁজে ফিরি-
তোমার শুভ্র চাহুনি, মঞ্চ কাঁপানো বাগ্মিতা
কুচকুচে ভ্রু আর লবনাক্ত নয়নের সাইরেন,
হাতের চারুকলা,
সমুদ্র তটের কারুমাখা বালু দ্বীপ;
তোমার ঠোঁটের বেহিসাবি উষ্ণতা, জিহ্বার মধু… আরও কত্তো কী!
এখনো যত্নে রেখেছি,
তোমার বহুকালদর্শী চাঁদমুখটা
হৃদয় মন্দিরে সাজিয়ে রেখেছি
তোমার পায়ে মাড়ানো অজস্র ঘাসফুল,
উড়িয়ে দিয়েছি তোমার পোষা রঙিন ফড়িং, সফেদ কইতর, শিষ দেয়া শালিক
হ্যাঁ, আমি ঠকেছি
পুড়েছি অসম্ভব অবিশ্বাসী রোদে
তবুও, এক আকাশ, এক সাগরসম
অতীতে ভরেছি তালপাতার ডায়েরি
যেখানে পাতায় পাতায় তোমার বিরহী আত্মা
ফুসফুসের শ্বাস, পাঁজরের অস্থি, মলিন বদনের পরাগ, ভেজা রোদ্দুর আর তারার শালুক ভরা;
ডায়েরির ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রেখেছি-
শব্দ-ছন্দহীন ভয়ঙ্কর সব ত্রাসিত আঁধার
কবিতার গা ঘেঁসে বসে আছে-
দুঃস্বপ্নের ফেনিল উর্মি!