Type to search

মশিয়াহাটীতে ৩০১টি প্রতিমা দেখতে জনতার ভীড়

অভয়নগর

মশিয়াহাটীতে ৩০১টি প্রতিমা দেখতে জনতার ভীড়

কামরুল ইসলাম, অভয়নগর
যশোরের মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার সংগমস্থল মশিয়াহাটী আঞ্চলিক দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহৎ দুর্গোৎসব। দূর্গা পূজার নির্ধারিত প্রতিমা সহ ৩০১টি প্রতিমা নিয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিমা দেখতে দূর- দূরান্ত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শণার্থীর আগমণ ঘটছে।

দর্শণার্থীর কথা বিবেচনা করে আগামী শুত্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে বির্সজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক কমিটি।
অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখা গেছে, মশিয়াহাটী নাট মন্দিরে রাখা হয়েছে দূর্গা পূজার নির্ধারিত প্রতিমা। মন্দ্রিরের বাইরে সারি বদ্ধ ভাবে রাখা হয়েছে পৌরণিক ঘটনা অবলম্বনে নান্দনিক দৃশ্যমান প্রতিমা। এসব প্রতিমার মধ্যে রয়েছে- ভীমের শরশয্যা, জগাই মধাই উদ্ধার, সৃষ্টিতত্ত¡, সমুদ্র

মন্থন,শিবের বিষপান, লক্ষীর বরমাল্যদান,বালক ধ্রæবের ভগবানের একান্ত লাভ,ভগীরথের গঙ্গা আনায়ন,বিনয়কের মস্তকছেদন,শিবভক্ত মারকন্ত,বামন অবতর,তড়াকা বধ,অহল্যা পাষান উদ্ধার, পরশুরামের ক্ষত্রিয় নাশ, রামচন্দ্রের হরধনু ভঙ্গ, জটায়ু উদ্ধার, বালী বধ, অশোক বনে মা সীতা,লক্ষণের শক্তি সেল,মহিরাবন বধ,অশ^মেধ যোজ্ঞ,কংসের কারাগারে মহামায়ার আবির্ভাব,বকাসুর বধ, মধাব পাটনি, সাবিত্রী সত্যবান, হরিশচন্দ্রের শ্মাশান মিলন, দেবালয়ে বেহুলা লক্ষীন্দার, চাঁদ সওদাগারের মনসা পূজা, ভিকারি অশি^নী গোসাই, দ্রোপদীর বস্ত্র হরণ, লব-কুশ- সীতার অগ্নীতে ঝাঁপ,জরা সন্ধা বধ, কালীয় নাগ দমন, কৃষ্ণ ভক্ত সুদামা, শিশুপাল বধ, শ্রীকৃষ্ণের কালিরুপ ধারণ,কর্নের অন্তিম সময়, শ্রীকৃষ্ণের ঝুঁলান যাত্রা, কংসের কারাগারে শ্রী কৃষ্ণের জন্ম,একালবের গুরু দক্ষিণা,পরীক্ষিত রাজার পূর্ণ ব্রহ্মশাপ সহ অনেক প্রতিমা।
খুলনার ডুমুরিয়া থেকে আগত দর্শণার্থী সন্তোস কুমার মন্ডল(৬৫) বলেন, দেবী দূর্গাার পাশা পাশি আমি শত শত দেব দেবতার প্রতিমা দেখতে ছুটে এসেছি। এগুলো দেখলে ধর্মের অনেক পূর্ণ হয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, ১০১টি প্রদীপ জ¦ালিয়ে ষষ্ঠী তিথিতে মন্ত্রী স্বপন কুমার ভট্টাচার্যও পক্ষে তার ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রতিমা দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শণার্থী আসছে। তাদের কথা বিবেচনা করে আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে। ওই দিন রাতে বিষার্জন দেয়া হবে।