Type to search

চৌগাছায় স্বাধীনতা বিরোধী পরিচয় ঘোচাতে জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

যশোর

চৌগাছায় স্বাধীনতা বিরোধী পরিচয় ঘোচাতে জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

চৌগাছা যশোর প্রতিনিধি:

যশোরের চৌগাছার স্বাধীনতা বিরোধী পারিবারিক পরিচয়কে আড়াল করতেই ৭১’র রাজাকার মুজাহিদের পরিবার বঙ্গবন্ধুসহ আগষ্টের সকল শহীদদের স্মরনে ব্যানার বানিয়েছে বলেই দাবী করেছেন কড়ইতলা বাজার কমিটির সভাপতি ফারুক। শূধু তাই নয় ১৫ই আগষ্টের স্মরনে মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষন বাজিয়ে কাঙ্গালি ভোজেরও আয়োজন করেছে এই রাজাকার মুজাহিদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাদেও দাবীকেই সমর্থ করে চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান জানতে চাইলেন, “কেনো এবং কি কারনে রাজাকার পরিবারের এই জাতিয় শোক দিবস পালনের আয়োজন? যে পরিবারটি ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে অদ্যবধি কোনো রকমেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ভ’লকরেও নিজেদেরকে জড়াননি এবং ৭৫’র পর ২০২০ সালে এসে কেনোইবা তারা ১৫ই আগষ্ট জাতিয় শোক দিবস পালন করছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন দীর্ঘ ৫১ বছর চৌগাছা আওয়ামী রাজনীতির এই একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখা নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান।
১৮৪০ নং গেজেটধারি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান ৭১’র সেই ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেন, এম আহমদ আলী ও তার পুরো পরিবার ছিল স্বাধীনতা বিরোধী মুসলিমলীগ পরিবার। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তাই তার ছেলে মুজাহিদ আলী রাজাকারের প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী ভ’মিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাপিয়ে পড়েন। এবং তার অন্যান্য ছেলেরাও বাপের দেখানো পথেই ছিলেন। দেশ স্বাধীন হলে রাজাকার মুজাহিদের ভাই শওকত আলী এবং মুজাহিদ আমার বাড়িতে এসেছিল। শওকত আমাকে বললো,যুদ্ধের সময় মুজাহিদ ভ’ল করেছে। ওকে একটু দেখে রাখবেন। এসএম হাবিব বলেন, এখন শুনছি এই শওকত নাকি যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিল এবং স্বাধীনতার পক্ষেছিল বলে কে বা কারা মনগড়া লিখা লিখেছে।
আহমদ আলী বা তার পরিবারের কেউ যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকতো তাহলে কি আমি জানতাম না?? আর তারা যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিই হবে তাহলে মুজাহিদ কেনো রাজাকার ছিল? রাজাকার মুজাহিদদের ১৫ আগষ্ট পালনে আপনি দাওয়াত পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে এসএম হাবিব বলেন “না” । আর দাওয়াত পেলেও যেতাম না। হাবিব বলেন বেশি নোংরামি করা ভাল না। ওই স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার যা শুরু করেছে তার পরিনতি ভাল হবেনা।
উল্লেখ্য সম্প্রতি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ৮ নং তালিকাভ’ক্ত রাজাকার মুজাহিদ আলীর বাপের নামে ( পিস কমিটির সদস্য আহমদ আলী) একটি বাজার,রাস্তা ও একটি যাত্রী ছাউনির নামকরন নিয়ে উপজেলা সদরে মানব বন্ধন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই মানববন্ধনের পরে স্বাধীনতা বিরোধী পারিবারিক পরিচয় আড়াল করতে এবং স্বাধীনতা বিরোধী আহমদ আলীর নামে বাজার, রাস্তা ও যাত্রী ছাউনির নামকরন বজায় রাখতে নতুন কৌশলের আশ্রয় গ্রহন কওে রাজাকার মুজাহিদেও পরিবার। ২৩ আগষ্ট রাতে রাজাকার মুজাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্য যারা সেদিন শহীদ হয়েছিলেন এবং ২১ আগষ্টে শহীদ সকলের স্মরনে একটি ব্যানার কড়ইতলা বাজারে ঝুলানো হয়।