Type to search

চৌগাছায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে খেজুর গুড়ের মেলা 

চৌগাছা

চৌগাছায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে খেজুর গুড়ের মেলা 

শ্যামল দত্ত চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

‘যশোরের যস খেঁজুরের রস’-এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে খেজুর গুড়ের মেলার এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার তত্ত্বাবধানে আগামী ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদের মাঠের বৈশাখী মঞ্চে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, এ উপজেলার গাছিরা হাজার বছর ধরে বিপুল পরিমাণ খেজুর গুড় উৎপাদন করলেও এই প্রথম এমন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ইরুফা সুলতানা যোগদান করার পর থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরমধ্যে ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। যা এ অঞ্চলের গাছিদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আরও জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি প্রথম দিন সকালে মেলার উদ্বোধন করা হবে। দ্বিতীয় দিন আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি থাকবেন চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান।

খেজুর গুড়ের মেলার মতো একটি নতুন আইডিয়া সম্পর্কে নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের সাথে বেড়ে ওঠার কারণে আমি রস গুড় সম্পর্কে অবহিত ছিলাম। কিন্তু যখন আমি প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করি তখন আমার মনে হয়েছে যশোরের এ ঐতিহ্যকে যদি আমরা জাতীয় আর্ন্তজাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে এ গুড় একটি অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তাই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতেই মতবিনিময়ের জন্য গাছিদের ডাকা হয়েছিল। ওই সময় বিপুল সংখ্যক গাছি যোগদান করেন। তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি বিস্মিত করেছে। সেখান থেকেই এ মেলা করার প্রেরণা। এই মেলার আয়োজন যশোরের ঐতিহ্য রস গুড়কে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

চৌগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান বলেন, গুড়ের মেলার আয়োজন আমার কাছে খুব চমকপ্রদ মনে হয়েছে। কেননা আমরা ছোট বেলায় এ অঞ্চলে রস গুড়ের যে বিপুল উৎপাদন দেখেছি এখন তা প্রায় হারাতে বসেছে। এ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি পৃষ্টপোষকতা দরকার। এজন্য বর্তমান সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমাদের এই মেলাও সেই উদ্যোগের একটি অংশ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, খেঁজুর গুড় আমাদের এ অঞ্চলের একটি অর্থকরি ও ঐতিহ্যগত সম্পদ। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে বর্তমানে এর উৎপাদন নিন্মমুখী। কিন্তু আমরা যদি খেঁজুর গুড় উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি তাহলে এর উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে। আবার গাছিরাও লাভবান হবেন। সেক্ষেত্রে এই মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।