তাহলে দিন আনে দিন খায়-এমন মানুষের কী হবে? গবেষকরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষকে সম্পৃক্ত করে প্রকৃত উপকারভোগী চিহ্নিত করার মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে। আর ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, দরিদ্র মানুষের জন্য বেশকিছু কর্মসূচী চলছে, নতুন অর্থবছরে আরো কিছু যোগ হবে-কারো কোন সমস্যা হবে না।
গতবছর করোনার প্রথম ঢেউতে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে টাকা, খাবারসহ ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে সরকার। এবং এই কর্মসূচি অব্যাহত আছে বলে দাবি সরকারের।
দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন করে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে ২ হাজার ৫শ টাকা করে অর্থ সহায়তাও দিচ্ছে। পাশাপাশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য হটলাইন নম্বর ট্রিপল থ্রি এর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আর লকডাউন হওয়া ৪২ জেলায় ত্রাণ হিসেবে ১৬০ কোটি টাকা ও ৯৫ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ করেছে সরকার, নতুন অর্থবছরে এর ব্যাপকতা বাড়বে।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারের এই ত্রাণ সহায়তা পর্যাপ্ত তো নয়ই বরং প্রকৃত উপকারভোগীরা সহায়তা ও ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে যারা বাইরে বের না হলে জীবন চলবে না অথচ লকডাউন, বিধিনিষেধের কারণে বেরও হতে পারেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, সবাইকে আসলে সাঠকভাবে চিহ্নিত করা যাচ্ছেনা। যাদেরকে অর্থটা দেয়া দরকার তাদের কাছেই যেন অর্থটা পৌঁছায় সেইব্যবস্থাপনাটা জরুরী। এই ব্যবস্থাপনায় আমাদের কাজ করে যাওয়া উচিৎ এবং এক্ষেত্রে তথ্য ভান্ডারটা থাকাটা প্রয়োজন।
এর জবাবে, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত অভিযোগ খুব একটা খাটবে না। পায়না এই কথাটা এখন আর খুব বেশি শোনা যায় না। কারন এটা এখন সমন্বিতভাবে দেয়া হচ্ছে। সরকার এই পথেই এগোচ্ছে এবং কেউ বাদ পড়লে তাকে যুক্ত করার মানসিকতাও রয়েছে।সূত্র,ডিবিসি নিউজ