Type to search

‘কঠোর লকডাউনের’ খবরে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

অর্থনীতি

‘কঠোর লকডাউনের’ খবরে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ শুরুর আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে।  একদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, দুই কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এক. ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা হওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে। দুই. ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেছে।

এ ব্যাপারে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের শাহ আলী ট্রেডার্সের মালিক কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনের ঘোষণায় বিক্রি বেড়েছে। তবে পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। যেটুকু বেড়েছে তা সরবরাহ কম থাকার জন্য।

অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় এমটি করছেন তারা।

মিরপুরে বাজার করতে আসা গৃহিণী সুফিয়া বেগম বলেন, কাঁচামালের সবকিছুর দাম বেড়েছে। মরিচ শুক্রবার (২৬ জুন) ছিল ৩০ টাকা শনিবার ৪০ টাকা কেজি, ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ২০ টাকা ছিল সেটা আজ ৩০ টাকা। এছাড়াও পটল, ধুন্দল, বিভিন্ন ধরনের শাক আজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে এই বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, কালো বেগুন ৬০ টাকা, সাদা সাদা বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি শশা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং আলু ৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতিপিস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা, গরু ৬০০ টাকা, লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

মাছের বাজারে রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়িসহ সব ধরনের মাছের দাম শুক্রবারের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

তবে মসলার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এলাচ ২৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকা, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, আদা ১৪০, রসুন ৭০ থেকে ১৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম