Type to search

কেশবপুরে নার্সের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানির অভিযোগ

কেশবপুর

কেশবপুরে নার্সের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানির অভিযোগ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর
যশোরের কেশবপুরে এক নার্সের বিরুদ্ধে রোগী হয়রানি, সচল ম্যাশিন অচল দেখানো, রোগীর স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পুরস্কার প্রাপ্ত এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভাবমূর্তী চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। ওই নার্স মহিলা ওয়ার্ডের রাত্রিকালিন দায়িত্ব পালনকালে কোন মুমূর্ষু রোগী তার কাছে ইসিজি করাতে গেলে সচল ম্যাশিন অচল দেখিয়ে ফিরিয়ে দিয়ে থাকেন। এনিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে,  মেরিনা খাতুন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স (সেবিকা)
হিসেবে ৩ বছর আগে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি রোগী ও তার স্বজনদের সাথে হয়রানি করে চলেছেন। গত ১১ মে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের খালেদা খাতুন উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসার জন্যে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের অভ্যন্তর থেকে ইসিজি করাতে বলেন। ওই সময় হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের রোগীদের সেবাসহ ইসিজির দায়িত্বে থাকা নার্স মেরিনা খাতুন নার্স রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রোগীর স্বজনরা তাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে রোগীকে ইসিজি করাতে বলেন। এসময় ইসিজি ম্যাশিন নষ্ট বলে তিনি রোগীর স্বজনদের ফিরিয়ে দেন। তাকে বারবার অনুরোধ করার পরও কারও কথা রাখেননি। পরবর্তীতে তার কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও তিনি নম্বার নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দেন। উপায়ন্তর না পেয়ে ওই রাতে রোগীর স্বজনরা বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘুরেও ইসিজি করাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চিকিৎসেবা না পেয়ে বাড়ি ফেরেন। খালেদা খাতুন বলেন, ১১ মে রাতে ইসিজি করাতে ব্যর্থ হয়ে পরের দিন পুনরায় হাসপাতালে গিয়ে সেই ইসিজি ম্যাশিনে ইসিজি করাই এবং ডাক্তার দেখায়ে বাড়ি ফিরে আসি। শুধু তিনি নন, ওই রাতে ইসিজি করানোর জন্য যত রোগী তার কাছে গিয়েছিল, তিনি সবাইকে ইসিজি ম্যাশিন নষ্ট বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। যার কারণে বহু রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নার্স অভিযোগ করেন, নার্স মেরিনা খাতুন এ
হাসপাতালে যোগদান করার পর থেকে সে রোগীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণকরাসহ রোগীদের হয়রানি করে আসছেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায় না। এ হাসপাতাল ২/৩ বার স্বাস্থ্য মন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছে। তার কারণে পুরস্কারপ্রাপ্ত এ হাসপাতালের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের নার্সদের সুপারভাইজার ফিরোজা পারভিন বলেন, ওই রোগীর স্বজনরা আমার কাছে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাক্তার মো. আলমগীর বলেন, হাসপাতালের ইসিজি ম্যাশিন নষ্ট নয়। তিনি রোগীদের সাথে এমন আচরণ কেন করেছেন তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।