Type to search

কেশবপুরে  আম্ফানে ভেঙ্গেপড়া মান্নানের বসতঘর  অর্থাভাবে মেরামত করতে পারছে না

যশোর

কেশবপুরে  আম্ফানে ভেঙ্গেপড়া মান্নানের বসতঘর  অর্থাভাবে মেরামত করতে পারছে না

জাহিদ আবেদীন বাবু,  কেশবপুর(যশোর) থেকে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তান্ডবে  যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাস্তা গ্রামের মান্নানের বসতঘর তচনচ হয়ে গেছে। অর্থবভাবে তিনি বসতঘর সংষ্কার করতে না পারায় এখনও পর্যন্ত তার পরিবার-পরিজন নিয়ে তাল পাতার একটি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ঝুকিপূর্নবস্থায় জীবন-যাপন করছে। তার এই দূর্দিনে তিনি ও তার পরিবার সরকারীভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন।
গত শনিবার (১৩জুন) সরেজমিনে উপজেলার কাস্তা গ্রামের শেখ পাড়ায় একটি বাড়ীর আঙ্গিনায় দেখা যায় একটি তালপাতার ঝুপড়ি ঘর।  সেখানে  গিয়ে খোঁজ নিতেই ঝুপড়ির ভিতর থেকে বাড়ীর মালিক আব্দুল মান্নাসহ একে একে বেরিয়ে আসে তার পরিবারের ৭ সদস্য। কথা বলতেই পরিবারের কর্তা মান্নান  হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠে বলেন, আমি শেষ হয়ে গেছি স্যার, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিষক্ত ছোবলে আমার সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে, এমনকি আমার মাথা গোজার একমাত্র ঠাইটুকুও কেড়ে নিয়েছে। আমি আজ পথের ফকির হয়ে গেছি। অর্থের অভাবে আমি আমার ঘরের চাল মেরামত করতে পাছিনা। এখনও পর্যন্ত সাহায্য তো দূরের কথা আমার বাড়ীতে কেউ দখতে পর্যন্ত আসেনি। ঝড়ের রাতে আমার ঘরের উপর উপড়ে পড়া গাছটি বারবার বলা হলেও এখনও পর্যন্ত তারা অপসারন করেনি। গাছ মালিক প্রতিবেশী রশিদ শেখ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় উক্ত গাছ অপসারন করতে ভয় পাচ্ছি।
অসহায় মান্নান শেখ আরো  বলেন, আমিসহ ৭ সদস্যের পরিবার নিয়ে তার বসবাস। পরের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা দিয়ে মাছ কিনে  তিনি গ্রাম-গঞ্জে,বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে ফেরি করে মাছ বিক্রি করেন। এই সামন্য আয়ে চলে তার সংসার। বহু কষ্টে সংসার চালানোর ফাঁকে তিনি বিভিন্ন এনজিও-সমিতি থেকে লোন নিয়ে একটি  বাড়ী নির্মান করেন। কিন্তু  ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে তার ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাছাড়া পাশের বাড়ীর রশীদ শেখের বিশাল প্রকৃতির একটি আমগাছ তার ঘরের উপর পড়ে  ঘরের আংশিক ভেঙ্গে যায়। একদিকে কিস্তি অন্যদিকে সংসার চালাতে গিয়ে অর্থাভাবে কোন ভাবেই সংষ্কার করতে পারেনি তার মাথা গোজার এই ঠাইটুকু। তাই আশপাশের মানুষের কাছ থেকে তাল গাছের পাতা চেয়ে বাড়ীর উঠানে ঝুপড়ি তৈরি করে ঝড়-বাদলের মধ্যে এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুকিপূর্ন জীবন-যাপন করছে। হতদরিদ্র মান্নান ও তার পরিবার ঘরের উপর পড়া আমগাছটি দ্রুত অপসারন ও ঘর মোরমতের জন্য সরকারী আর্থিক সাহায্য-সহযোগীতা কামনা করেছেন।