Type to search

এক পিস ইয়াবার টাকার জন্য মানুষ খুন করে তারা!

অপরাধ

এক পিস ইয়াবার টাকার জন্য মানুষ খুন করে তারা!

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: ইয়াবা সেবনের জন্য নিজেদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন করে তারা। আরও বেশি ভয়ংকর হয় বাইরের মানুষের কাছে। কেবল এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের ৩০০ টাকার জন্য তারা মানুষ খুন করে। গাড়ি চালকদের নেতৃত্বে ঢাকায় এমনিই একটি ছিনতাই চক্র গড়ে উঠেছে। মাদকের টাকার জন্য তারা ছিনতাই করে বেড়ায়। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বেশ কয়েকমাস ধরে কিছুদিন পরপর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কখনও কখনও বিভিন্ন সড়ক, ফ্লাইওভারে এবং নির্জন জায়গায় মানুষের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে একজন প্রবাসীর লাশ পাওয়া যায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারে। এগুলো  মাদকাসক্ত সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চালকেরা করে থাকে। তারা মাদকের টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’

মশিউর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের সিএনজি অটোরিকশা বা প্রাইভেটকারে তুলে সবকিছু নিয়ে নেয়। কেউ বাধা দিলে তাদের হাত, পা, মুখ গামছা দিয়ে বা স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা যাত্রীকে কোথাও ফেলে দেয়।’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরের সময় দূরপাল্লার বাস ও সিটিবাস না চলায় লাখ লাখ মানুষ বিকল্প বাহনে ঢাকা ছেড়েছেন এবং ঢাকার অভ্যন্তরে যাতায়াত করেছেন। গভীর রাতেও এই যাতায়াত অব্যাহত ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক সময় সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং মালবাহী ছোট পিকআপ যাত্রীদের আনা-নেওয়া করেছে। কয়েকটি ডাকাত চক্র গণপরিবহনের এই স্বল্পতাকে কাজে লাগিয়ে রাইড শেয়ারের নামে মানুষের সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়।’

পরে ছিনতাইকারীদের ধরতে ডিবি তৎপর হয়। সোমবার (১৭ মে) রাতে খিলক্ষেতে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ সময় একটি চক্রের সঙ্গে গোলাগুলি হয়। দুজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয়। এনামুল ও রাসেল নামে দুজন মারা যায়। জীবিত গ্রেফতার দুজন হলো, সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার নয়ন ও ইয়ামিন।

গ্রেফতার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি। তারা জানায়, তারা মূলত মাদকের টাকার জন্যই ছিনতাই করে। হত্যা তাদের উদ্দেশ্য না। তবে ছিনতাইয়ে বাঁধা দিলে তখন তাদের মুখ বা গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইয়াবায় আসক্তি থাকা কিছু লোক এটি করে থাকে। তারা এক পিস ইয়াবার দাম পেলেই খুশি। মাত্র ৩০০ টাকার জন্য তারা এসব করে।’ সূত্র, বাংলা ট্রিবিউন