Type to search

আঁধারে হারাই 

সাহিত্য

আঁধারে হারাই 

বিলাল মাহিনী
চলো হারিয়ে যাই অন্ধকারে
যেভাবে হারায় বর্ষ, দিন-ক্ষণ
হারায় চেনা-অচেনা মানুষ-জন।
এখানে থেকে কী লাভ!
জরা, ক্ষরা, জীর্ণশীর্ণ ভরা এ ধরা-
শুধু চায় আর চায়, দেয় না কিছুই।
এখানে হাজতি-কয়েদী গুমরে মরে
ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলে তাজা প্রাণ
অনেকেই জানে না, কী তার অপরাধ!
এখানে শুধু আঁধার
মিথ্যার বেসাতি
হিংসার হলি
দ্বন্দ্ব-সংঘাত ভুরি ভুরি।
এখনে কেউ কারো আহাজারি শোনে না
দেখে না মুমূর্ষু ভুখা অনাহারি
অলিতে-গলিতে বিবস্ত্র নারী শিশু বৃদ্ধ বনিতা
ওরা ওপরতলার কুকুর!
চাওয়ার শেষ নেই ওদের,
দেখেও দেখে না অসুস্থ বিধবারা জাড় জড়িয়ে মাঘের কাপুনি পোহাচ্ছে…
এখানে সাম্য, মানবিকতা, সামাজিক সুবিচারের সলিলসমাধি হয়েছে
বিবেক বোধের সহমরণ হয়েছে সত্যের সাথে।
এখানে শহুরে ললনার ঢের কদর
টাকায় কাঠের পুতুল মেলে
ওদিকে আমার লাখো বোন দু বেলা দু মুঠো ভাতের লাগি নাইট ডিউটি করছে –
গার্মেন্টস, হাসপাতাল, মিল-কলকারখানায়!
এই যে হুট করে বন্ধ হয়ে যায় মিল-কারখানা
ট্রাফিক প্যাচে পড়ে কতজন হারায় যান,
বেচারা খেটে খাওয়া মানুষের কী হয় ভেবেছে কেউ??
এখানে বেঁচে থেকে কী লাভ!
তাই চলো আঁধারে হারাই
যেভাবে হারায় ঢেউ স্রোতে ভেসে ভেসে।