Type to search

অয়নগরে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

অভয়নগর

অয়নগরে আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপের্টার
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুভাষ রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী নিয়োগ স্থগিতের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার(২০/৭/২৩) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে বিদ্যালয়ে আয়া, নৈশ্যপ্রহরী,অফিস সহায়ক ও কম্পিউটার ল্যাব এ্যাসেসটান মিলে চারটি পদে নিয়োগের জন্য গত ১১ জুন স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রাকাশ করা হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের ১৫ দিনের মধ্যে দরখাস্ত জমা দেওয়া কথা বলা হয়। এর আগে ও একবার অনুরুপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সুভাস রায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ সুভাস রায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুইজন প্রাথীর কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে অফিস সহায়ক পদের জন্য আড়পাড়া গ্রামের সমির মন্ডলের স্ত্রীর কাছ থেকে ৭ লাখ ও ফুলেরগাতি গ্রামের বিশ^জিত সরকারের ছেলের কাছ থেকে ১০ লাখ নেওয়া হয়েছে।
ওই নিয়োগ বন্ধ রাখার জন্য এলাকার ৬ জন গণ্যমান্য ব্যক্তি গত ১৬ জুন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। এলাকাবাসী নিয়োগ বন্ধ করার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর এর আগেও দুই দফা আবেদন করেছেন। অভিযুক্ত প্রার্থীরা জানান বিদ্যালয়ের সভাপতি সুভাষ রায় তাদের কাছে টাকা উল্লেখিত টাকা দাবি করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলকান্তি মল্লিক বলেন, এলাকাবাসী বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে আমার কাছে দুই দফা আবেদন করেছে। এছাড়া জেলা শিক্ষাকর্মকর্তার কাছে গত ১৬ জুলাই আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার আমাদের তার দপ্তরে ডেকেছেন। সেখানে উভয় পক্ষের কাছে শুনানী হবে। তিনি আরো বলেন এলাকাবাসীর বাঁধার কারনে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যাচ্ছেনা।
সভাপতি সুভাষ রায় বলেন, আমি কাাে কাছ থেকে টাকা নেয়নি। এলাকাবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এলঅকাবাসীর আবেদনের জন্য আমার কাছে তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানীর জন্য উভয় পক্ষকে আমার দপ্তরে ডাকা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।