Type to search

অষ্টম শ্রেনীর মামা সুমঙ্গল করেন অপারেশন, প্যাথোলজিক্যাল লাইসেন্স না থাকলেও ভাগ্নে তাপস কুমার করেন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ।

স্বাস্থ্যবিধি

অষ্টম শ্রেনীর মামা সুমঙ্গল করেন অপারেশন, প্যাথোলজিক্যাল লাইসেন্স না থাকলেও ভাগ্নে তাপস কুমার করেন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ।

নড়াইল প্রতিনিধি

অষ্টম শ্রেনীর মামা ডাঃ নামধারী সুমঙ্গল বিশ্বাস অপারেশন করার প্যাথলোজিক্যাল লাইসেন্স নাই ও ভাগ্নে তাপস কুমারের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে প্যাথলজী পরীক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের দক্ষিন পার্শে ১০০ মিটার দুরত্বের মধ্যে অন্যের সাইন বোর্ড, নিজের দোকান ঘরে লাগিয়ে এসব অন্যায় অনৈতিক কাজ করে চলেছেন মামা ভাগ্নে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভওয়াখালী গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নড়াইল সদর হাসপাতালের প্রধান গেটের দক্ষিন পার্শে ভওয়াখালী ঢোকার রাস্তার পাশে দেবদার তলায় মামা ভাগ্নে অনৈতিক ভাবে সহজ সরল সাধারন মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। কারন পল্লি চিকিৎসক হিসাবে ডাক্তারী করতে হলে পল্লি চিকিৎসকের কোর্স করতে হয়। এই কোর্স করতে হলে নুন্যতম এসএসসি পাশ হতে হয়। ডাক্তার সুমঙ্গল বাবুর তো অষ্টম শ্রেনী পাশ। অথচ তিনি ফিস্টুলা,পাইলস সহ অনেক বড় বড় অপারেশন করছেন। এবং তিনি এ সমস্ত রোগীদের সেফিপাইম,সেফট্রাক্সন,সেফটিপাইম সহ বড় বড় এন্টিবাইটিক ব্যবহার করতে প্রেসক্রিপসন দিচ্ছেন। যাহা সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনার সামিল। এ ছাড়া সেবা প্যাথলোজির মালিক তাপস কুমার বিশ্বাস যাহার কোন প্যাথলোজিক্যাল লাইসেন্স নাই। লাইসেন্স বিহীন তাপস কুমার হার্টের,লান্সের,টাইফয়েড,প্যারা টাইফয়েড সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলেছেন। মজার ব্যাপার হলো তাপস কুমারের দোকানের নিজের কোন সাইনবোর্ড নাই। অন্য দোকানের ল্যাবষ্টার ডায়গোনষ্টিক সাইনবোর্ড নিজের দোকানের উপরে লাগিয়ে রেখেছেন। এটা কত বড় বাটপারি। ডাক্তার নামধারী সুমঙ্গল বিশ্বাস এখানে বসে চিকিৎসা,অপারেশন করার পাশাপাশি সদর হাসপাতালের সার্জারী কনসালটেন্ট ডাক্তার আকরামুজ্জামান এবং অন্যান্য ডাক্তারদের নিয়ে সমালোচনা করে চলেছেন। অন্যদিকে সেবা প্যাথলোজির মালিক তাপস কুমার বিশ্বাস দাবী করেন, আমার রিপোর্ট সঠিক। মল্লিক,ভিক্টোরিয়া সহ অন্যান্য ডায়গোনষ্টিকের রিপোর্ট সঠিক না। অথচ তার রিপোর্ট ডাক্তার নামধারী সুমঙ্গল বিশ্বাস ছাড়া নড়াইলের কোন এম বি বি এস ডাক্তার গ্রহন করেন না। তাপস কুমার বিশ্বাসের যে ল্যাব আছে, তাহা উক্ত দোকানের পিছনে বাথরুমের সাথে ছোট একটু যায়গায় নামে মাত্র করা। যাহা প্রশাসনের লোক সহ কেউই খুজে পায়না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর আসার খবর পেলে এই দুই মামা ভাগ্নে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যান। তারা ডাক্তার সমিতি ও ডায়গোনষ্টিক সমিতির সদস্য না হয়েও হাসপাতাল ও প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে সাধারন সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারনা করার সাহস পায় সেটা আমরা জানতে চাই। এবং দ্রুত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নাকি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসোয়ারা দিয়ে চলছে এ অবৈধ কার্যকলাপ। এ বিষয়ে ডাক্তার নামধারী সুমঙ্গল বিশ্বাস অপারেশনের সুতা দিয়ে অপারেশনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি জ্বর টরের রুগি দেখি। আমার পল্লী চিকিৎসকের কোর্স করা আছে। অপারেশন করা অবস্থায় এক রুগি নামধারী ডাক্তারের সহ ছবি তুলে জানতে চাইলাম এনাকে কি করেছেন। তখন বলেন দুর্বলতা তাই রক্তের একটা সেলাইন লাগালাম। সেবা প্যাথলোজির মালিক তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার বা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট থাকলেই প্যাথলোজির কাজ করা যায়। আমার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট আছে , তাই এ সেবার কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম বলেন,বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না আমরা অভিজান চালিয়ে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।