Type to search

অভয়নগর উপজেলা পরিষদের সাট মুদ্রাক্ষরিক হুমায়ূন কবিবের বিরুদ্ধে অবৈধ বেতন নেওয়ার অভিযোগ

অপরাধ

অভয়নগর উপজেলা পরিষদের সাট মুদ্রাক্ষরিক হুমায়ূন কবিবের বিরুদ্ধে অবৈধ বেতন নেওয়ার অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি-

যশোরে অভয়নগর উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর গ্রেড-১৪ হুমায়ুন কবিব অবৈধ ভাবে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত তিনি এ অবৈধ বেতন উত্তোলন করছেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ সালে নতুন বেতন স্কেল ঘোষণার পর থেকে পূর্বের বেতন বিধি অনুযায়ি তার পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট বাতিল হয়ে যায়। হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি পুরাতন বেতন বিধি অনুযায়ী ২০১৭ সালে দুইটি পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট অর্জন করে আজও তা উত্তোলন করছেন।

হুমায়ূন কবির ২০১২ সালে ওই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে অভয়নগর উপজেলায় যোগদান করেন। তখন তার বেতন স্কেল ছিলো ৫,৫০০ টাকা, ৪৫ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া ২,৪৭৫ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা ও টিফিন ভাতা ২০০ টাকা মিলে ৯,৬৭৫ টাকা বেতন পেয়ে আসছিলেন।

২০১৫ সালে নতুন স্কেল ঘোষণার পর তার সর্বসাকুল্যে বেতন দাড়ায় ১৬,৪৯০ টাকা। তিনি ২০১৭ সালে দুইটি পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন। বর্তমানে তার সর্ব সাকুল্যে বেতন দাড়িয়েছে ৩০,২৪৮ টাকা।

ইনক্রিমেন্ট নেওয়ার বিষয়ে হুমায়ন কবির বলেন, ‘অবৈধ ভাবে কোন ইনক্রিমেন্ট উত্তোলন করছি না। আমার পারফরমেন্স ইনক্রিমেন্ট নির্ধারনের জন্য একটি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষক কমিটি যদি ভুল করে থাকে তার জন্য আমি দায়ি না। তিনি আরো বলেন দেশের অনেক উপজেলায় আমার পদে কর্মরতরা যে ভাবে ইনক্রিমেন্ট পায় আমি ও সেভাবে পেয়ে আসছি। আমি উপজেলা ইউএনও এবং চেয়ারম্যান কে বলেছি, ঘটনা তদন্ত করে যদি অবৈধ প্রমাণিত হয় তা হলে আমি তা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেবো।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’