Type to search

ঝিকরগাছায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝিকরগাছায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে উন্নয়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন

আফজাল হোসেন চাঁদ :

যশোরের ঝিকরগাছায় মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে উন্নয়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় পৌরসদরের কীর্তিপুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিজেস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৫নং ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন।
এসময় তার বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আমরা সকলে যখন একমত পোষণ করে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছি, তখনি আমাদের এলাকার একজন চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী ও মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত একই গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান (৫৫) কর্তৃক কীর্তিপুর শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি সড়কে পৌরসভার পানির পাইপ লাইনের উপর তার অবৈধ ভাবে নির্মিত ভবন ও তৎসংলগ্ন প্রাচীর নির্মাণ এবং বিসি রাস্তার জায়গা বেআইনী ভাবে নিজ দখলে রাখার অপচেষ্টা করে। এর প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী তাকে এহেন বেআইনী কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা সত্তে¡ও কোনো কর্ণপাত না করায় আমরা এলাকাবাসী পৌর মেয়রের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৯/০৬/২০২২ইং তারিখে জনস্বার্থে সরকারি রাস্তার উপর থেকে মাটি অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃক এসকেভেটর দিয়ে মাটির স্তুপ অপসারণের সময় মৃত আমজেদ হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান (৫৫), আমিনুর রহমানের ছেলে মামুন (২৮), মৃত আমজেদ হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান (৫২), আনিছুর রহমান আশানুর (৫০), আমিনুর রহমানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৭) ও আমিনুর রহমানের প্রমিচ (২২) পৌর উন্নয়ন মূলক সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে উন্নয়ন ব্যহত করে। এসময় উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এসকেভেটরের ড্রাইভার মুজাহিদের উপর আক্রমণ ও এসকেভেটরের যন্ত্রাংশ ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হক খোকন বাদি হয়ে এবং আমিনুর রহমানসহ ০৬ জনকে আসামী করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করে, যার মামলা নং-১/১২২, তারিখ ০১/০৭/২০২২। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনুর রহমান প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে মামলার বাদির বিরুদ্ধে একটি হয়রানী ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত আমিনুর রহমান একজন সুচতুর মামলাবাজ ব্যক্তি। অবৈধ টাকা অর্জনের কারণে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে প্রায় ৯৯৯-এ ফোন করে হয়রানী করে। আমিনুর রহমান কৃষি ব্যাংকে লোন অফিসার হিসাবে চাকুরীকালীন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করে নামে-বেনামে ঝিকরগাছা, শার্শা, কায়েমকোলায় কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে। গ্রামবাসীর শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রশ্ন কৃষি ব্যাংকে সামান্য বেতনে চাকুরী করে কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হলো? এ ব্যাপারে আমিনুর রহমানের আয়কর ফাইল এবং সম্পদের তদন্ত করলে রহস্য উদঘাটন হবে। তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আমিনুর রহমান মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে শুধু তাই নয়, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সবাই যখন একমত হয়ে উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার প্রয়োজন উপলব্ধি করে, তখন সে তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে উন্নয়ন কাজকে ব্যহত করে। এখানে আরো উল্লেখ করতে চাই যে, আমিনুর রহমান যে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধ করে চলেছে সেটা একট বিতর্কিত সম্পত্তি। সেখানে তার মালিকানাই নেই। যা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলমান। তাছাড়া উল্লেখিত সম্পত্তির উপর বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তিনি দেওয়ানী আদালতের নির্দেশনা বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চলেছে। কমিশনের রিপোর্টেরও তোয়াক্কা করেন না মামলাবাজ আমিনুর রহমান। সে সামাজিক বিচার মানেন না। সে একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন গল্প কাহিনী বানিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরা আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে তার বেআইনী ও অনৈতিক কর্মকান্ড তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট এমদাদুল হক দুলু, ৫নং ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা একরামুল হক খোকন, বুলবুল আহম্মেদ, রফিকুল ইসলাম, সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, আকবার আলী, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম সম্পাদক আসমোত আলী, ইদ্রিস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম নুর উদ্দিন সবুজ, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, সদস্য হযরত আলী, জাহিদ হাসান, শহিদুল ইসলাম, হাদিউজ্জামান মিন্টু, আশরাফুল ইসলাম টুটুল সহ আরো অনেকে।