Type to search

অভয়নগরে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরের রস ও গুড়

অভয়নগর

অভয়নগরে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরের রস ও গুড়

স্বাধীনতার আগে  ও পরে  যাদের  বয়স  ৪০/৫০ বা তার  উপরে, তারাই শুধু বলতে পারবেন  খেজুর  গাছের  রস দিয়ে তৈরি  নলেন গুড়ের  বিভিন্ন রকমের  পিঠা  ও পায়েসের স্বাদ। কালের  আবর্তে হারিয়ে  যেতে বসেছে  অভয়নগরের বিভিন্ন  গ্রাম অন্ধল থেকে।  পৌষ পার্বণে পিঠা পুলির উৎসব অনুষ্ঠানের  আয়োজন  এখন আর চোখে পড়ে  না। মনুষ্য  সৃষ্টি  প্রাকৃতিক  দূর্যোগ, জলাবদ্ধতা, খেজুর রস সংগ্রহের গাছি, ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জ্বালানি হিসাবে ব্যবহারও জ্বালানি সংকটই মুলত  অভয়নগর সহ সারা দেশে  খেজুর  গাছ বিলুপ্ত প্রায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নওয়াপাড়া  মোকাম ছিল  প্বার্শবতী মনিরামপুর, কেশবপুর,নড়াইলসহ বিভিন্ন  উপজেলার  সবচেয়ে  বড়ো  মোকাম।  এক সময় নওয়াপাড়া  হাট থেকে   শত, শত টন গুড় বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন  দেশে  রপ্তানি  হতো বলে জানা যায়। সরখোলা  গ্রামের  আসলাম হোসেন বলেন, ভবদহ জলাবদ্ধতার  জন্য আমার অনেক  খেজুর গাছ মারা গেছে আর বাকি যেগুলো আছে গাছির অভাবে  পড়ে  রয়েছে।  ধোপাদী গ্রামের  সোহরাব হোসেন বলেন, জ্বলাবদ্ধতার কারণে  খেজুরগাছ মারা গেছে।  বুইকরা গ্রামের  জাকির হোসেন বলেন রস,গুড়ের  স্মৃতি  মন থেকে  হারিয়ে গেছে। উপজেলা   কৃষি  কর্মকর্তা বলেন, নতুন করে  খেজুর গাছ লাগানো,   উদ্দোক্তা  সৃষ্টি ও  জলাবদ্ধতা নিরসনই হয়তো  এ   শিল্পকে  বাঁচানো সম্ভব।