Type to search

অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক

অভয়নগর

অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক

অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক
নওয়াপাড়া অফিস
অভয়নগরে পারিবারিক কলহে স্ত্রী ও তার দুই শিশু কন্যাকে গলাটিপে হত্যা করেছে এক পাষান্ড স্বামী।পুলিশ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় উপজেলার চাপাতলা নগরঘাটের একটি ঘাসবন থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবু (৩৩)কে আটক করেছে।


আটক জহিরুল ইসলাম বাবু যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মশিয়ার রহমান বিশ্বাসের ছেলে।
নিহতরা হলেন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮),কন্যা সুমাইয়া খাতুন (৯) ও দুই বছরের শিশুকন্যা সাফিয়া। আটক জহিরুল ইসলাম নিহত সাবিনা ইয়াসমিন বিথির স্বামী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় স্ত্রী ও কন্যাদের নিয়ে জহিরুল শ^শুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ির পৌছনোর কিছু দূর আগে তাদের গলা টিপে ও গামছা পেচিয়ে হত্যা করে লাশ তিনটি ঘাস বনে ফেলে রেখে যায়। জহিরুল বাড়ি ফিরে আসলে তার আচরণ সন্দহ জনক হওয়ায় বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশিরা তাকে ধরে যশোরের বসুন্দিয়া ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশ ফেলে রাখার স্থান শনাক্ত করে। পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
সাবিনা ইয়াসমিন বিথির পিতা মুজিবর রহমান জানান, গত একমাস আগে আমার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন বিথি ও তার দুই কন্যা আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল শুক্রবার আমার জামাই জহিরুল ইসলাম বাবু আমার মেয়ে ও তার দুই কন্যাকে নিতে আসে। সকাল সাড়ে ১১ টার সময় আমাদের বাড়ি থেকে তারা রওনা দেয়। এরপর আমার বিয়াই (জামাই জহিরুলের পিতা) বিকাল ৫ টায় ফোন করে বলে আমার ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি আপনারা চলে আসেন। এরপর জানতে পারি আমার মেয়ে ও তার দুই কন্যাকে জামাই খুন করেছে।
তিনি আরো জানান ১২/১৩ বছর আগে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুর সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেতেই থাকতো। গতকাল শুক্রবারও আমার বাড়িতে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এরপর তারা আমার বাড়ি থেকে রওনা দেয়।
অয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন “ স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবু কতৃক স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যা করে। নিহত তিন জনের লাশ উপজেলার চাপাতলা নগরঘাটের ঘাসবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কেন বা কি কারনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এ মুহুর্তে বলতে পারছিনা।