Type to search

অভয়নগরে শতাধিক কৃষকের জমি দখল করে মাছের ঘের বাঁধার অভিযোগ

অভয়নগর

অভয়নগরে শতাধিক কৃষকের জমি দখল করে মাছের ঘের বাঁধার অভিযোগ

রাম, দা লঠি সোটা নিয়ে পাহারা বসিয়ে
অভয়নগরে শতাধিক কৃষকের জমি দখল করে মাছের ঘের বাঁধার অভিযোগ
নওয়াপাড়া অফিস
প্রভাব খাটিয়ে অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ঝিকরার বিলে অবস্থিত শতাধিক কৃষকের ফসলি জমি দখল করে মাছের ঘের করার অভিযোগ উঠেছে। রাম দা, লাঠিসোটা নিয়ে পাহারা বসিয়ে মাটিকাটা ম্যশিন নিয়ে দিন ও রাতে চলছে ঘের বাঁধার কাজ। প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলা দায়ের করছে ওই প্রভাবশালী মহল। ভুক্তোভোগী কৃষকেরা এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৃষকের অভিযোগ পত্র ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ঝিকরার বিলে ধোপাদী, সড়াডাঙ্গা,গবিন্দরপুর সহ আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের শতাধিক কৃষকের ফসলি জমি রয়েয়ে। তারা ওই বিলে বর্তমানে ধান চাষ করেন। ভবদহ সমস্যায় বিলটি জলাবদ্ধ হওয়ার আগে সেখানে ধান-তিল, তরমুজ,বাঙ্গি সহ নানা ধরনের ফসল ফলতো। বর্ষাকালে বিলের শাপলা,কলমি খেয়ে, বিক্রি করে ও মাছ শিকার করে দ্ররিদ্র কৃষকের জীবন জীবিকা নির্বাহ হতো।
বর্তমানে বিলের চার থেকে পাঁচশত বিঘা আয়তনের জমি নিশানা করে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মাছের ঘের বাঁধছে। এতে বাঁধা দিতে গিয়ে কৃষক আব্দুল গফুর, রহমান গাজী কৃষানী মঞ্জেলা বেগম সহ অনেকে তাদের হামলার শিকার হয়েছেন। এঘনায় তারা থানা, এসপি, পিবিআই সহ প্রশানের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
গত বছরও ওই মহলটি একই ভাবে ঘের বাঁধতে চেষ্টা করে। সে সময় ধোপাদী গ্রামের লুৎফর গাজী বাঁধা দিলে তাকে ও তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় সে থানায় মামলা করতে গেলে প্রতিপক্ষের প্রভাবে তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের হয়। পরে তারা আদালতে মামলা করে বর্তমানে ওই মামলা চলমান আছে। এরও আগে ২০১৭ সালে ও এক প্রভাবশালী জোর করে ওই বিলে ঘের বাধার চেষ্টা করে। সে বছর এলাকাবাসী ব্যপক আন্দোলন করে ওই প্রভাবশালীকে প্রতিহত করে।
কৃষক লাৎফর রহমানের ছেলে ইমদাদুল গাজী বলেন, এলাকার ১৮জন প্রভাভশালী ব্যক্তি আমাদের বিলে জোর করে ঘের বাঁধার কাজ করছে। তারা মাটি কাটাকার ম্যশিন দিয়ে দিন রাত কাজ করছে। ওরা ঘের পড়ে রম দা, লাঠিসোটা নিয়ে বসে থাকে। গত বছরও আমাদের জমিতে জোর করে ঘের বাঁধতে চেষ্টা করলে আমরা বাঁধা দেই। এ সময় প্রতিপক্ষ আমাদের উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমি আমার পিতা ও আমার ভ্ইা জখম হই। আমরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রতিক্ষের পাল্টা অভিযোগে আমাদের নামে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে আমরা আদালতে মামলা করি। বর্তমানে উভয় মামলা চলমান রয়েছে। এ বছর তারা আমাদের উপর হামলা ও মামলার ভয় ভীত দেখাচ্ছে। তাদের ভয়ে আমারা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়য়ে বিচার চেয়ে থানা, এসপি, পিবিআই, এসিল্যান্ড,উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাসহ অনেক দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলার শিকার আব্দুল গফুর জনানন, তার জমির উপর ঘের বাঁধতে গেলে সে বাঁধা দেয়। এ সময় তাকে মারধর করে আহত করা হয়। এঘটনায় সে থানায় অভিযোগ করেছে।
উপজেলার সহকারি কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড) থান্ডর কামরুল হাসান বলেন, এ ঘনায় অভিযোগ পেয়েছি আগামী রোববার তদন্তে যাবো।