Type to search

অভয়নগরে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

অভয়নগর

অভয়নগরে তালের শাঁস বিক্রির ধুম

 

এইচ এম জুয়েল রানা  : যশোর অভয়নগরে গ্রীষ্ম মৌসুমীর অন্যতম ফল তাল শাঁস(চোখ তাল) খাওয়ার ধুম পড়েছে। শিল্প শহর নওয়াপাড়ার অলি-গলিতে ভ্যানযোগে ফেরি করে সুস্বাদু তালের শাঁস বিক্রির হচ্ছে। প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছেই প্রিয় এই তালের শাঁস।
তিব্র তাপদহে কদর বেড়েছে এ ফলটির। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে এই ফলটির জুড়ি নেই। যার ফলে সব শ্রেণী পেশার মানুষদের দেখা যাচ্ছে সুস্বাদু এই তালের শাঁস খেতে। কারন মৌসুমি ফলের মধ্যে এক মাত্র ফল যেটি ফরমালিন বিষ মুক্ত অনেকে ধারণা করছে এটা একটি নিরভেজাল বিষ মুক্ত ফল।
তাই গ্রীষ্ম মৌসুমের হরেক রকম ফলের মাঝে এই ফলের কদর বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার রাস্তাঘাট,ফুটপাতসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে সুস্বাদু এই ফলটি বিক্রি হচ্ছে। সব শ্রেনীর লোকেরা অনেক আগ্রহ নিয়ে এই তালের শাঁস কিনছেন। তাল এমন একটি ফল যেটা কাঁচা থাকতে শাঁস,আর পাঁকলে হরেক রকম পিঠা পায়েস তৈরি করা হয় ।
কেউ বলে তালশাঁস আবার কেউ বলে তালের চোখ। এক একটি তালের ভেতর থাকে ৩ থেকে ৪ টি শাঁস। আবার কোনোটি তে ২টি শাঁস (চোখ) দেখা যায়। বাজারে প্রতিটি তাল ৬ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার ১টি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা। সুস্বাদু এই তালের শাঁসের অনেক গুনাগুন রয়েছে। তালের শাঁসের জলীয় অংশ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অয়রণ। যা শরীর কে শক্তিশালী রাখতে সহয়তা করে আর দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। এ মৌসুমী ফল টি গাছ থেকে সংগ্রহ করা বেশ কষ্ঠসাধ্য কাজ। গাছ মালিক ফল সংগ্রহ কারীর কাছে প্রতিটি তাল ২ থেকে দুইটাকা পঞ্চাশ পয়সা দরে বিক্রি করে থাকেন। ফল সংগ্রহ কারী জীবনের ঝুঁকিনিয়ে তাল গাছের আড়াই হাত জয় করে ফল সংগ্রহ করেন। এই মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে অনেকে পরিবারের মুখে হাসি ফুটান।
উপজেলার ডুমুরতলা গ্রামের মাষ্টার কালিপদ বিশ^াস বলেন, তাল গাছে উঠা কাঠিন কাজ। তাল গাছের মাথার দু থেকে আড়াই হাত নিচে পাতার ঘর্ষণের ফলে পিছিল হয়ে পড়ে। ফলে ওই অংশ পেরিয়ে তাল গাছের মাথায় উঠতে অনেক কষ্ঠ হয়। এ জন্য কথায় বলে তাল গাছের আড়াই হাত। তিনি জানান, আমার বাড়ি তিন থেকে চারটি তাল গাছ আছে। কিন্তু তালগাছে উঠা কষ্ঠসাধ্য বলে আমার গাছ থাকতেও মৌসুমীর প্রিয় তাল শাঁস খাওয়া হয়ে উঠেনা।
তাল শাঁস বিক্রেতা একতারপুর গ্রামের গোলাম রসুল(৭৫) জানান,এ মৌসুমে তাল শাঁস বিক্রি করে আমার পরিবারে বেশ সচ্ছালতা আসে। আমি প্রতিদিন ২ থেকে ৩শত টি তাল বিক্রি করি।প্রতিটি তাল ৬ থেকে ১২টাকা দরে বিক্রি করি ।এ ছাড়া প্রতিটি শাঁস বিক্রি করি ৫ টাকা। গাছ মালিকের কাছ থেকে ২৫০/- টাকা দরে একশতটি তাল ক্রয় করি। পাড়ানি বাবদ জন খরচ গাছ প্রতি দুইশ টাকা করে দিতে হয়।