Type to search

কেশবপুরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র কান্ড

যশোর

কেশবপুরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র কান্ড

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকেঃ যশোরের কেশবপুর উপজেলার হিজলডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ ফ্লাইট লেঃ মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজ নিয়ে যেন জটিলতার শেষ নেই। দিন গেলেই এখানে নিত্যনতুন কাহিনীর জন্ম হয়। এলাকাবাসির অভিযোগ গত কয়েকবছর এখানে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কতিপয় শিক্ষকদের পাঠদানে মনোনিবেশ না থাকলেও চাকচিক্যে কোন অন্ত নেই।  সব সময় চলে ক্ষমতার ডামাডোল পেটানোর মহোৎসব। তাতে প্রতিষ্ঠানটির ভবন গুলো সব সময় দাত বের করে প্রকৃতির সাথে খেলা করে (চালবিহীন ভবন)। এভাবেই হযবরল ভাবে চলছে শিক্ষার্থীদের বছরের পর বছর শিক্ষা জীবন।

এদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০” জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিক্রমে শিক্ষানীতি মোতাবেক প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান প্রতিষ্ঠানটির স্বপদে বহাল হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজ পরিচালনা শুরু করেন। এরপরই দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে থাকা প্রভাষক ওবায়দুর রহমান বিষয় সহজভাবে নিতে পারেননি। ঐ কলেজের বর্তমান সভাপতি মাষ্টার শামসুর রহমান হলো সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের পিতা। ওবায়দুর রহমান আবারো স্বপদে ফিরতে বিভিন্ন স্থানে দেনদরবার করতে থাকে । এদিকে মশিয়ার রহমান দায়িত্ব গ্রহন করলেও কলেজের রেজুলেসেশন বইসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তারা অধ্যক্ষকে বুঝিয়ে না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী মরনঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারন ছুটি ঘোষণা করে। সেই ঘোষণা মোতাবেক এই প্রতিষ্ঠানটিও অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান তালাবদ্ধ করে সরকারের ছুটির আদেশ সকলকে জানিয়ে দেন। এদিকে গত ২৯ মার্চ আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্ব একদল যুবক কলেজের প্রদান ফটোকের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে অধ্যক্ষের রুমের তালা ভেঙ্গে নিজে একটি তালা ঝুলিয়ে দেয় এবং অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমানের নামাঙ্কিত নেম প্লেট ভাংচুর করে নিজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নেমপ্লেট ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে শত শত এলাকাবাসি ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনা জানার পর অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান সরকারি ছুটি চলাকালিন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সকল বিষয় তাৎক্ষনিক কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসীমউদ্দীনকে অবহিত করেন। তিনি জানার সাথে সাথে সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুজ্জামানের নেতৃত্ব একটি টিম সেখানে পাঠিয়ে এলাকাবাসির সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন এবং ভারপ্রাপ্ত লেখা নেমপ্লেট খুলে নিয়ে আসেন।

এব্যাপাবে অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান জানান, উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির পর তিনি কেশবপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। বিষয় ওসি জসীমউদ্দীন উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে শুনে ৩০ মার্চ সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে তার দপ্তরে ডাকেন। সেখানে তিনি প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাষক ওবায়দুর রহমানের নিকট থাকা কলেজের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র আগামী ৫ এপ্রিল কলেজের বর্তমান বৈধ অধ্যক্ষর নিকট বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দেন। ওসি জসীমউদ্দীন আরো বলেন, কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। কোন বিশৃখংঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেয়া হবে না। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিয়ম নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে। ওসি জসীমউদ্দীনের এ ঘোষণা জানার পর এলাকাবাসি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *