Type to search

অভয়নগরে উত্তম হত্যার তিন আসামী হত্যার দায় স্বীকার করেছে

অভয়নগর

অভয়নগরে উত্তম হত্যার তিন আসামী হত্যার দায় স্বীকার করেছে

স্টাফ রিপোর্টর :যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম সরকার হত্যা মামলায় আটক পাঁচ আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘর গ্রামের ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল, অভয়নগরের সুন্দলী গ্রামের প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট ও খুলনার দিঘলিয়া গ্রামের বিজন কুমার মন্ডল ওরফে বিনোদ। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর দু’ আসামিরা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদিপ্ত ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর গ্রামের প্রশান্ত মন্ডল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদালত সূত্র জানায়, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে আসামিরা। তারা সকলে নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রধান হচ্ছেন কিরণ ওরফে কিশোর ওরফে তপন ওরফে বাদল ওরফে মাহমুদ। তার নির্দেশে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রগুলি, বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার করে হত্যা, চাঁদাবাজি করে থাকে। অভয়নগরের সুন্দলী গ্রামের প্রজিৎ বিশ্বাস ওরফে বুলেট এ এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। বুলেট অভয়নগর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ধনীদের  মোবাইল ফোন নম্বর জোগাড় করতেন। পরে সে নম্বর কিরণকে দিতেন। অজ্ঞাত স্থানে থেকে কিরণ তাদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। তেমনি উত্তমের কাছে একলাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। উত্তম ২৫ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। বাকি টাকা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে উত্তমকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আসামিরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই শামীম হোসেন বলেন, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান কিরণ একেক স্থানে একেক নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেন। কিরণসহ হত্যা মিশনে অংশ নেয়া অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি রাতে বাড়ির কাছে খুন হন সুন্দলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম সরকার। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হওয়ার পর
গত শনিবার গভীর রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত যশোর ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করে। একইসাথে হত্যা মিশনে ব্যবহৃত একটি ওয়ান শুটারগান, তিন রাউন্ড গুলি, দু’টি গুলির খোসা, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, একটি এয়ারগান, একটি ককটেল, দু’টি মোটরসাইকেলসহ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। পরে আসামিদের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *