Type to search

অভয়নগরে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ২০ দিন বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলো

অভয়নগর

অভয়নগরে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ২০ দিন বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলো

নওয়াপাড়া অফিস
অভয়নগরে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে অজ্ঞাত এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ২০ দিন যাবত বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলো। সোমবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা যায় ওই ব্যবসায়ির নাম মোস্তফা হোসেন(৬৮)। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার হলদিয়া গ্রামের আব্দুল আলী ব্যপারির ছেলে।
মোস্তফা হোসেন জানান সে গ্রাম থেকে ফল কিনে। তা শহওে বিক্রি করে। ঘটনার দিন সে ফল বিক্রি করতে ট্রেনে করে খুলনার যাচ্ছিলো। পথি মধ্যে সে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে। তাকে ট্রেনের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন নওয়পাড়া স্টেশনের প্লাটফর্মে নামিয়ে রাখে। সেখানে বিনা চিকিৎসায় ১২ দিন পড়ে ছিলো। তার পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে পোকায় আক্রান্ত হয় ও শরীরে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। লোকজন তাকে পাগল ভেবে কেউ কাছে ভেড়ে না। এর মধ্যে তার শরীরের অবস্থা মারাত্মক খারাপ হয়ে পড়ায় স্টেশনের লোকজন তাকে অভয়নগর উপজেলা কমপ্লেক্সের বরান্দায় রেখে আসে। লোকটি বিনা চিকিৎসায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায়ও পড়ে ছিলো ৮ দিন।
সোমবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক মিঠুন দত্ত ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ অভয়নগর শাখার নেতা সাদ্দ্াম হোসেন মোল্যা মিলে তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করে বিছানায় তুলে দেয়।
উদ্ধার হওয়া লোকটির সাথে কথা বলে জানা গেছে তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার হলিদিয়া গ্রামে। সে একজন ফল বিক্রি ব্যবসায়ি। ঘটনার দিন সে ফল বিক্রি করতে খুলনায় যাচ্ছিলো। পথি মধ্যে তাকে অজ্ঞান করে সবকিছু লুটে নিয়েছে অজ্ঞান পার্টির লোকজন।
উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাহমুদুর রহমান রিজভী বলেন, অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়া একজন রোগীকে স্থানীয় এক সাংবাদিক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমিটির নেতা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রোগীর পায়ে ক্ষত হয়ে পোকায় আক্রান্ত হয়েছে। তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হবে।