Type to search

মনিরামপুর খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে ,দু’মাসে মাত্র ৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়

যশোর

মনিরামপুর খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ে মুখ থুবড়ে পড়ছে ,দু’মাসে মাত্র ৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :
বাজার মূল্য খুববেশি ব্যবধান না থাকলেও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের ধান দিচ্ছেন না চাষিরা। একই অবস্থা চাল ক্রয়ের কেন্দ্রেও। যার ফলে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা।
সংশ্লিষ্ট অফিসে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত সরকারি ভাবে ধান ক্রয় করা হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিক টন। যেখানে ৪ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত থাকলেও গত দু’মাসে মাত্র ৪ মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, কোন চাষি ধান দিচ্ছেন না অফিসে। ফলে ধান ক্রয় করা নাকাল অবস্থা চলছে। এক পর্যায়ে ক্ষোভের সাথে তিনি জানান, শেষ পর্যন্ত না হয়, উপজেলার তালিকা ভূক্ত চাষিদের বাড়িতে যেতে হবে ধান ক্রয় করতে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, খোলা বাজারে চলতি সময় ধান বিক্রি হচ্ছে এক সাড়ে নয়’শ থেকে সাড়ে ১১’শ টাকা দরে মন। সরকারি ভাবে নেওয়া হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে। তাও আবার গ্রেডিং করে ধান দিতে হবে অফিসে। তারপরেও গ্রাম থেকে অফিসে ধান আনতে রয়েছে মোটা অংকের বহন খরচ। এসব বিবেচনা করেই ঝামেলা এড়াতে চাষিরা ধান দিচ্ছেন না সরকারি অফিসে।
সূত্রমতে গত পহেলা মে থেকে আমন ক্রয় শুরু হয়। বুধবার পর্যন্ত মাত্র চার মেট্রিক টন ধান ক্রয় গেছে বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ সেলিম। একই অবস্থা চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রেও। সরকার প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩৬ টাকা দর দেওয়ায় চাল দিচ্ছেন না মিলাররা। গত দু’মাসে ৬৯.৭৫০ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। মিলাররা ধার্য্যকৃত চাল না দেওয়ায় ৪৪ মিলারকে ইতিমধ্যে শো’কজ করা হয়েছে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা অফিস থেকে। যেখানে ২৬’শ ৮০ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে, সেখানে মিলারদের কাজ থেকে কোন সাড়া মিলছে না। এ কারণে অফিস কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানিয়েছেন মিলাররা চাল না দিলে ভবিষ্যতের জন্য তারা ব্যবসায় ক্ষতি গ্রস্থ হবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *