কেশবপুরে ইউপি কার্যালয় স্থানান্তর করায় জন দুর্ভোগ : পূর্বের ভবনে স্থানান্তরের দাবি
জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় দূরবর্তী, সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত, নির্জন স্থানে পরিত্যক্ত টিন শেডের ঘরে স্থানান্তর করায় ইউনিয়নবাসি চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। যুগ যুগ ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলা ভবনে পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তরের জন্য জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়নবাসি নবনির্বাচিত এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে পরিচিত ৬ নম্বর কেশবপুর ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন পরিষদ সৃষ্টলগ্ন থেকে কেশবপুর পাবলিক ময়দানের উত্তর পাশে (বর্তমান পৌরসভা ভবনের সামনে এখন বিদ্যমান) এক তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে আসছিল। বছর খানেক আগে কিছু কুচক্রীমহলের তৎপরতায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন পরিষদের স্থান নির্বাচন না করেই প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে বিল গরালিয়ার পাড়ে একটি পরিত্যক্ত টিন শেডের ঘরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তর করে। ভবন নির্মাণ হলেই তারা চলে যাবেন বলে জনপ্রতিনিধিরা সেসময় বারবার অনুরোধ করলেও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই পরিত্যাক্ত ঘরে যেতে তাদের বাধ্য করেন। ওই পরিত্যক্ত ঘরে জনগনের সেবাদানের নুন্যতম কোনো পরিবেশ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই ঘরের চার পাশ পানিতে তলিয়ে যায়। ইণ্টারনেট সংযোগ না পাওয়ায় তথ্যসেবায় জনগনের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে । এমন দুরবর্তী র্নিজন স্থানে সেবা নিতে গিয়ে জনগণ বিশেষ করে কর্মজীবী নারী, পুরুষরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দিন জানান, বর্তমানে টিন শেডের ঘরে সেবাদানের নুন্যতম কোনো পরিবেশ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই ঘরের চার পাশ পানিতে তলিয়ে যায়। ইণ্টারনেট সংযোগ না পাওয়ায় তথ্যসেবায় জনগনের হচ্ছে ব্যাপক ভোগান্তি। দুরবর্তী র্নিজন স্থানে সেবা নিতে গিয়ে জনগণ বিশেষ করে কর্মজীবী নারী, পুরুষরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মেম্বার গৌতম রায় জানান, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থান নির্বাচন না করেই প্রভাব খাটিয়ে যে পরিত্যক্ত ঘরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তর করেছে সেখানে জনগনের সেবাদানের নুন্যতম কোনো পরিবেশ নেই। জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বাসি নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে নবনির্বাচিত এমপি শাহীন চাকলাদারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।