অভয়নগরে বোরো ধান সংগ্রহে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার-
যশোরের অভয়নগরে বোরো ধান সংগ্রহ করার জন্য উন্মুক্ত লটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের কৃষক বাছাইয়ের জন্য এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
উন্মক্ত লটারি ড্র উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান পীরজাদা শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হুসেইন খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মীনা খানম, নওয়াপাড়া সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল আদম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলিফনূর, ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, বিকাশ রায় কপিল সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
উদ্বোধনী দিনে উপজেলার প্রেমবাগ, সুন্দলী, চলিশিয়া ও পায়রা ইউনিয়নের কার্ডধারী কৃষকদের লটারী করা হয়েছে। জানা গেছে প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৩২০৮টি কার্ডের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ২৪৮ জন, সুন্দলী ইউনিয়নের ১১৯৪টি কার্ডের মধ্যে ১০২ জন, চলিশিয়া ইউনিয়নের ২৭২৮টি কার্ডের মধ্যে ২৬৮ জন এবং পায়রা ইউনিয়নের ১৪২৬টি কার্ডেও মধ্যে ২৬২জন কৃষক কার্ডপ্রতি ১ টন করে ধান দিতে পারবেন। আগামী রবিবার উপজেলার শ্রীধরপুর, বাঘুটিয়া, শুভরাড়া ও সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন সহ নওয়াপাড়া পৌরসভার কার্ডধারী কৃষকদের লটারী একই স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২৫০৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান,এ বছর প্রতিকেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা যা মন প্রতি দাম আসে ১ হাজার ৪০ টাকা। এলাকার অবস্থা বুঝে বড় ও মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী হিসাবে শ্রেণি ভাগ করা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে বড় ও মাঝারি কৃষক ৫ থেকে ১৫ শতাংশ জন নির্বাচিত হবেন। বড় অংশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। উভয় অংশ থেকে ১০ শতাংশ হাতে রাখা হবে। যদি কোন ক্ষুদ্র কৃষক ধান দিতে ব্যর্থ হয়। সে ক্ষেত্রে আগে আসলে আগে পাবে ভিক্তিতে যে কোন কৃষকের ধান ক্রয় করা হবে। উপজেলায় মোট কৃষক আছেন ২৫ হাজার ৪শ ৬৯ জন। আর ধান ক্রয়ের জন্য নির্বাচিত হবেন ২ হাজার ৫শ ৫ জন কৃষক। প্রতিজন কৃষক এক টন ধান বিক্রি করতে পারবেন।