মনিরামপুরে ৭ ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৩ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়াসহ ১৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায়, আটক-১

জি, এম ফারুক আলম, মনিরামপুর
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র না থাকায় যশোরের মণিরামপুরে ৩ ইটভাটা বুলডেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়াসহ ৪ ইটভাটা মালিককে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা’র ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়াসহ এ জরিমান আদায় করেন।
সোমবার দিনভর পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা আক্তারের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা ও যশোরের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী, পল্লী বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে নিয়ে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৭ ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান চলে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনবসতি সংলগ্ন অবস্থিত হওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হলো-মনিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে সোনালী ব্রিকস, জয়নগর এলাকার নিউ বোল্ড ব্রিকস ও শরীফ ব্রিকস। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা আদায়কৃত ইটভাটাগুলো হলো-স্বরুপদাহ এলাকায় অবস্থিত বন্ড ব্রিকসের মালিককে ৮ লক্ষ টাকা, কাশিপুর-বিজয়রামপুর এলাকার সোহাগ ব্রিকস-১ ও ২ এর মালিকদ্বয়কে ৬ লাখ টাকা এবং পাতন-জুড়ানপুর এলাকায় অবস্থিত মিম ব্রিকসের মালিককে ২ লাখ টাকা। এ সময় বন্ড ব্রিকস-এর ম্যানেজার হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার, পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশীদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। ইটভাটায় অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান খান।
অভিযান চলাকালিন পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর জেলার উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ আনোয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ এবং জনপদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ইটভাটা সমুহে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভাটার আগুন নিভিয়ে এবং বিদ্যুৎ কর্মীদের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণের পর বুলডোজার দিয়ে ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়াসহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি ইটভাটাকে সর্তক করা হয়েছে।