Type to search

স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

জাতীয়

স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে আ. লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাতটার দিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় উপজেলা প্রশাসন ও ‍উপজেলা পরিষদ। এর কিছুক্ষণ পর বালিয়াটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে রুহুল আমিন শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মীর সোহেল আহমেদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালামসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় রুহুল আমিন স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনি শহীদ বেদিতে ফুল দিয়েছেন। এরপর অন্য কেউ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিতে পারেন না। এসব কথা শোনার পর রুহুল আমিনের সমর্থক নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহত একজন

সংঘর্ষে আহত একজন

রুহুল আমিন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তিনি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় অন্য কেউ ফুল দিতে পারেন না। এটা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এটা বলার পরপরই প্রতিপক্ষের কয়েকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।

মীর সোহেল আহমেদ চৌধুরী বলেন, তাঁরা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন তাতে আপত্তি জানান। একপর্যায়ে তাঁর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

সূত্র : প্রথম আলো