স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলার আটটি উপজেলায় মোট ২১টি স্থায়ী পশুহাট রয়েছে। এসব হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় চারটি, ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় দুটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি হাট রয়েছে ।

সদর উপজেলার চারটি হাট হচ্ছে- রূপদিয়া, বারীনগর, নিউমার্কেট ও কোদালিয়া গ্রামে।রূপদিয়া হাট সোম ও শুক্রবার বারীনগর রবি ও বৃহস্পতিবার নিউমার্কেট শনি, সোম, বুধ এবং কোদলিয়ায় শুক্রবার এবং সোমবার পশুরহাট বসে।

ঝিকরগাছা উপজেলায় দুটি হাট হচ্ছে-ঝিকরগাছা বাজার ও ছুটিপুর। ঝিকরগাছায় সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রোববার এবং ছুটিপুর সোমবার হাট বসে।
শার্শার দুটি হাট-নাভারণ ও সাতমাইল। নাভারণে বুধবার এবং সাতমাইলে শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে।

মণিরামপুরের তিনটি হাট – মণিরামপুর, রাজগঞ্জ ও নেহালপুর। মনিরামপুরে শনি ও মঙ্গলবার রাজগঞ্জ, সোম ও বুধবার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নেহালপুরে সোম ও বৃহস্পতিবার পশুরহাট বসে।
কেশবপুরের দুটি হাট- কেশবপুর ও সরসকাটি। কেশবপুর সোম ও বুধবার এবং সরসকাটি রোববার পশুরহাট বসে।
অভয়নগরের তিনটি হাট-নওয়াপাড়া পৌরসভা, মরিচা ও নাউলি। নওয়াপাড়া পৌরসভায়শনি ও মঙ্গলবার মরিচা বুধবার এবং নাউলিতে ঈদের আগের দিন পশুরহাট বসে।
বাঘারপাড়ার চারটি হাট হচ্ছে-চাড়াভিটা, ভাংগুড়া, নারিকেলবাড়িয়া ও খাজুরা ভাটার আমতলা।
চাড়াভিটা বুধবার, ভাংগুড়া সোমবার, নারকেলবাড়িয়া মঙ্গলবার এবং খাজুরা ভাটার আমতলায় রবি ও শুক্রবার পশুরহাট বসে।

চৌগাছার একটি হাট- পৌরসভার বেলের মাঠ। এখানে সপ্তাহে রবি ও বুধবার হাট বসে।

যশোর জেলার এসব হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে । চলছে সমানতালে পশু বেচাকেনা।

হাটে আসা পশুর স্বাস্থ্য সঠিক আছে কিনা, তা যাচাইয়ে কাজ করছে ২৪টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি আরও জানান, সদর উপজেলায় সাতটি, ঝিকরগাছায় দুটি, শার্শায় দুটি, মণিরামপুরে তিনটি, কেশবপুরে দুটি, অভয়নগরে তিনটি, বাঘারপাড়ায় চারটি ও চৌগাছায় একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এসব টিমে ভেটেরিনারি ডাক্তারদের সমন্বয়ে অন্যান্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। মূলতঃ তারা রোগাক্রান্ত পশুর খোঁজ রাখছেন ও সন্দেহ হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, এ বছর যশোরে সর্বমোট পশু উৎপাদন হয়েছে ৯৫ হাজার ৭শ’ ১০টি। এবার কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ৯১ হাজার ১শ’ ৮৮টি পশুর। এরপরও উদ্বৃত্ত থাকবে ৪ হাজার ৫শ’ ২২টি পশু। যশোরে উৎপাদিত পশুর মধ্যে রয়েছে ২৫ হাজার ৬৮০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৯৩টি বলদ, ১ হাজার ৩৯৭টি গাভী, ৬৫ হাজার ৯৮৩টি ছাগল ও ৫৫৭টি ভেড়া। পাশাপাশি কোরবানির জন্য চাহিদাকৃত ৯১ হাজার ১৮৮টি পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড় ২৪ হাজার ৪৮০টি, বলদ ২ হাজার ৭৮টি, গাভী ১ হাজার ৩৯৭টি, ছাগল ৬২ হাজার ৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি।