মান যাচাই করে কৃষিপণ্য রপ্তানির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে কৃষি থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়। সঠিকভাবে মান যাচাই করে কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে করে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম আরও বাড়ে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য আরও শতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কার্যক্রমে বালাই শনাক্তকরণে আন্তর্জাতিকমানের ল্যাবরেটরি স্থাপনের নিমিত্তে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের বিদ্যমান ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করা এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করা।
জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ নির্মিত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩১৫ বর্গফুট বিদ্যমান উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরি ভবন, ভৌত অবকাঠামো মেরামত, ল্যাবরেটরি (মাইকোলজি, ব্যাকটেরিওলজি, ভাইরোলজি, নেমাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি) যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করা হবে। ১৮০ জন কর্মকর্তাকে স্থানীয় প্রশিক্ষণ ও ৬ কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ সংরক্ষণ কনভেনশনের স্ট্যান্ডার্ড সেটিং বডির প্রণীত বিধি-বিধান অনুসরণ করার দক্ষতা অর্জন করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বর্ণিতাবস্থায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রস্তাবিত ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়িত হবে। এটিসহ ৮ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে ২ হাজার ৬১ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪৮ কোটি ব্যয় করা হবে।সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম