Type to search

নড়াইলে মামলা করায় জীবননাশের হুমকী,যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম

অপরাধ

নড়াইলে মামলা করায় জীবননাশের হুমকী,যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম

 

নড়াইল প্রতিনিধি

যৌতুকের পাচ লাখ টাকা না পেয়ে ইয়াসমিন খানম নামে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ইয়াসমিনের বাবার বাড়ি একই উপজেলার খলিশাখালি গ্রামে। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় সুস্থ্য হয়ে স্বামী ফয়সাল জমাদ্দারের নামে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ফয়সালের আরো দুজন সহযোগিকে আসামি করা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে আসামিরােএখন জীবননাশের হুমকী দিচ্ছে।
প্রতিবেশি এবং মামলা সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ২৫ মার্চ লোহাগড়া উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের লোকমান জমাদ্দারের ছেলে ফয়সাল জমাদ্দারের(২৮) সঙ্গে খলিশাখালি গ্রামের জলিল শেখের মেয়ে ইয়াসমিন খানমের বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রতিবেশি ইলিয়াছ হোসেন,রমজান আলী জানান,বাবার বাড়ি থেকে পাচ লাখ টাকা এনে দিতে না পারায় ফয়সাল প্রায়ই তার বউকে মারধর করতো। ৩০ জানুয়ারি বিকেলে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল ঘর থেকে গাছি দা বের করে স্ত্রীকে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করে। ঠেকাতে গেলে সে আমাদেরকেও ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে স্ত্রী দৌড়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তাকে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।
আবেগতাড়িত কন্ঠে ইয়াসমিন খানম জানান,তার স্বামী মাদকে আসক্ত। তিনি মাদকসেবি চক্রের সঙ্গে জড়িত। বিবাহের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে পাচ লাখ টাকা এনে দেবার দাবিতে প্রতিদিন রাতে আমাকে মানসিক চাপ দিয়ে আসতো। ৩০ জানুয়ারি এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদের এক পযার্য়ে স্বামী ফয়সাল জমাদ্দার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার সঙ্গে আরো দুজন ছিল। আমি এক পযার্য়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে তারা আবারো আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমার বাবা জলিল শেখসহ আরো কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করেন। প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ইয়াসমিনের বাবা জলিল শেখ বলেন,এ ব্যাপারে ইয়াসমিন নিজে বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করেছে। মামলায় ৩জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা তুলে নিতে আসামিরা আমাকেসহ মেয়েকেও জীবননাশের হুমকী দিচ্ছে।
জানতে চাইলে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন,এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা এলাকা ছাড়া। আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।