Type to search

নড়াইলে ঠিকাদারের অনিয়মে নির্মাণাধীন বাড়ির পিলারের কংক্রিট ধসে পড়ার অভিযোগ

নড়াইল

নড়াইলে ঠিকাদারের অনিয়মে নির্মাণাধীন বাড়ির পিলারের কংক্রিট ধসে পড়ার অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কামার গ্রামে চুক্তিতে বাড়ি
নির্মাণে ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম করায় নির্মাণাধীন বাড়ির পিলারগুলোর
কংক্রিট ধসে পড়ার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে,তিলে তিলে
জমানো সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে যেয়ে সর্বশান্ত হয়ে পথে
বসেছেন নির্মাণাধীন বাড়ির ভূক্তভোগী মালিক।

ক্ষতিপূরণের আশায় দ্বারে
দ্বারে ঘুরে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। এর প্রতিকার চেয়ে
ভাদুলীডাঙ্গা বাড়ির সামনে পরিবার নিয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী বাড়ির
মালিক মাওলানা আসিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মাওলানা আসিকুল ইসলাম বলেন,‘ নির্মাণ কাজে
অভিজ্ঞতা ছাড়াই সুন্দর এবং সঠিকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিকাদার
মোটা অঙ্কের লিখিত চুক্তিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করতে যেয়ে ত্রুটিপূর্ণ
কাজ করেছেন। যে কারণে কাজের মাঝপথে এসেই পিলারগুলোর পলেস্তারা খসে পড়ছে।
তিনি বিভিন্ন অপকৌশলে আমার নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছেন। বাড়ি
নির্মাণ করতে যেয়ে এখন আমি নিঃস্ব,পথে বসার উপক্রম হয়েছি। এই প্রতারকের
বিরুদ্ধে আমি আইনের আশ্রয় নিব। ’
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে উপজেলার কামার গ্রামের বাসিন্দা
নড়াইল পৌরসভার ভাদুলীডাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আসিকুল ইসলাম একটি
বসত বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এ লক্ষ্যে স্থানীয় এক রাজমিস্ত্রি
নির্মাণ ঠিকাদার শাহজামালের সঙ্গে লিখিতভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। সেই মোতাবেক
নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঠিকাদার রাজমিস্ত্রী শাহজামাল।
বাড়ির মালিক আসিকুল ইসলাম উন্নত মানের রড,সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় নির্মাণ
সামগ্রী কিনে দেয়া সত্ত্বেও তড়িঘড়ি এবং দায়সারাভাবে কাজ করেন ঠিকাদার। যে
কারণে নির্মাণ কাজের মাঝ পথে এসে ভবনের প্রত্যেকটি কলাম ও পিলারের
কংক্রিট কোন কারণ ছাড়াই ধসে পড়ছে। বিষয়টি নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের
দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে আপত্তি করলে সটকে পড়েন ঠিকাদার শহজামাল।
সামান্য বেতনের মসজিদের ইমামের সারা জীবনের গচ্ছিত অর্থে নির্মাণাধীন
বাড়ির কাজে নয়-ছয় করায় বিপাকে পড়েছেন ভূক্তভোগী মালিক। নির্মাণাধীন বাড়ির
কাজ সরেজমিনে দেখে এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন সঠিক নিয়ম না মেনে কাজ না করায়
নির্মাণে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ভবনের কাজ ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ কাজ
করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে ভূক্তভোগী ইমাম বিভিন্ন মহলে ধরণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি।
এমনকি ক্ষতিপূরণের আশায় অতিসম্প্রতি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নিজ গ্রামে
মানব বন্ধন করলেও ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন সুরাহা পাচ্ছেন না
ভূক্তভোগী মালিক।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার শাহজামাল বলেন,‘ মালিকপক্ষ সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে
প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারায় কাজে কিছু ত্রুটি হতে
পারে। তবে সেটা গুরুতর নয় বলে মনে করেন তিনি।