Type to search

নড়াইলে বৃদ্ধ মাকে নির্যাতনের অভিযোগ দুই ছেলের বিরুদ্ধে

অপরাধ

নড়াইলে বৃদ্ধ মাকে নির্যাতনের অভিযোগ দুই ছেলের বিরুদ্ধে

 

নড়াইল প্রতিনিধি

বৃদ্ধ মাকে মারপিট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
যে সন্তানদের বড় কষ্টে লালন পালন করে বড় করেছেন সেই সন্তানরাই আজ স্বার্থের লোভে হয়ে উঠেছে বড় শক্রু। সম্পত্তির লোভে তারাই এখন মাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। শুধুই তাই নয়, মায়ের গচ্ছিত টাকা ও সোনা লুটপাট করে নিয়েছে। এসব অভিযোগে গত ১০ অক্টোবর নড়াইলের আদালতে মামলা করেছেন নড়াইল সদর উপজেলার তুলরামপুর ইউনিয়নের চাঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত লাল মোহাম্মদ ভূইয়ার স্ত্রী মাহফুজা বেগম। দুই ছেলে, পুত্রবধু ও পুতাছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, বড় ছেলে রাশেদ মিজান হিরন, মেজে ছেলে জাহিদুল ইসলাম মিরন, হিরনের ছেলে সাদনান সাহিদ সৌরভ ও হিরনের স্ত্রী রুনা লাইলা।
মামলায় স্বামী হারা ৭৪ বছর বয়সী মাহফুজা বেগম উল্লেখ করেন, তার চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। মেয়েরা শ্বশুর বাড়ি থাকে। ছোট ছেলে ঢাকাতে থাকে। সেজে ছেলে অসুস্থ্য মুকুলকে নিয়ে তিনি বাড়িতে বসবাস করেন। আসামিরা তার ভরন পোষন দেয়না। উল্টো তাদেরকে বাড়ি ছাড়া করতে নানা ধরণের নির্যাতন করতে থাকে। জমি জায়গা টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য তার দুই ছেলে রাশেদ মিজান ও জাহিদুল ইসলাম নানা ধরণের ফন্দি আটতে থাকে। এরমাঝে গত ৬ অক্টোবর সকালে আসামিরা আকস্মিকভাবে তাকে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। মাহফুজা বের না হলে তার ঘরে থাকা বাক্স ভেঙে নগদ একলাখ টাকা ও গহনা লুট করে। একপর্যায় তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে অপর ছেলে মুকুলে ঠেকাতে আসে। এসময় আসামিরা মুকুলের উপরও হামলা চালায়। পরের দিন ৭ অক্টোবর বিকেলে আবারো একই ভাবে বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করে। এসময় ঘাড় ধরে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। তাকে ও তার ছেলে মুকুলকে মারপিট করে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরবর্তিতে আসামিরা হত্যাসহ নানা ধরণের হুমকি দেয়। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে উল্লেক করে আদালতের আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, হিরণ সরকারী একটি দপ্তরের কর্মচারী। তার ছেলে সৌরভও সরকারী চাকরি করেন। এই দোহায় দিয়ে তারা পরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার পাইতারা করছেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন ভাবে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করা হলেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।