Type to search

ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের মাস্টার নিগার সুলতানার দৌড়ঝাঁপ

ঝিকরগাছা

ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের মাস্টার নিগার সুলতানার দৌড়ঝাঁপ

ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের মাস্টার নিগার সুলতানার দৌড়ঝাঁ

আফজাল হোসেন চাঁদ, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বে অবহেলা ও বাড়িতে বসে বেতন ভাতা উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ উঠার বিষয়ে পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে স্টেশন মাস্টার নিগার সুলতানা। উক্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তিনি উপজেলার সর্বনিম্ন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ নেতাদের দিয়ে সংবাদ বন্ধের জন্য বিভিন্ন ভাবে বলপ্রয়োগ করছেন সংবাদকর্মীদের উপর। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তিনি। তার অন্য এক সহকর্মীর মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকিসহ হাত-পা ভেঙ্গে খুলনার ২৫০শ্যযা হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও বলেছেন তিনি।
সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটির কথা থাকলেও রেলওয়ে স্টেশনে যোগদানের পর হতে সে তার দায়িত্বে অবহেলা, স্টেশনে ঠিকমতো না আসা, আসলেও স্টেশনে অবস্থান না করা, যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করা, বহিরাগত দিয়ে স্টেশন পরিচালনা করা, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রেল স্টেশনের অভ্যন্তরের জায়গা ইজারার দেওয়ার সুপারিশ করা, স্টেশনের মুল ভবনের সাথে “ঝিকরগাছা রেলস্টেশন” লেখা একটা লাইটিং বোর্ড ছিলো সেটা বর্তমানে উধাও হয়ে শুধু খাঁচা পড়ে আছে। দেখভাল করার অভাবে স্টেশনটি এখন মুত্রখানা আর আবর্জনার ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। প্রসাব আর ময়লার দুর্গন্ধে স্টেশনর রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায়না।
রেলওয়ে স্টেশনে দুজন স্টেশন মাস্টার এবং একজন প্রশিক্ষণার্থী স্টেশন মাস্টারের মধ্যে দুজনকে উপস্থিত পাওয়া গেলেও নিগার সুলতানাকে স্টেশনে খুজে পাওয়া যায় না। অপরদিকে স্টেশনের টিকেট বুকিং সহকারী এসএম শাহেদ, দুইজন পয়েন্ট ম্যান তারাও ঠিকমত কাজে আসেন না। তাদের বদলে ইমদাদুল নামের একজন বহিরাগত মৌলবী সেই দায়িত্ব পালন করে আসছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় স্টেশনে একজন উপস্থিত থাকলেও মিলন নামের পয়েন্ট ম্যান ও স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিমলা স্টেশনে আসেননি। তবে দুঃখের বিষয় হলেও সত্য এই স্টেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীও মাসিক বেতনে চাকরী দিয়েছে শিব নামের আর একজনকে।
অতিদ্রুত ঝিকরগাছা রেলস্টেশনের পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই স্টেশন মাস্টারকে বদলির দাবী জানিয়ে রেলস্টেশন নিয়ে পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় সুধীজন ও নিয়মিত যাত্রীবৃন্দ সংবাদকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং সকল অনিয়ম দুর করে স্টেশনটিকে জনবান্ধন করে গড়ে তোলার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
স্টেশনের টিকেট বুকিং সহকারী এসএম শাহেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
পয়েন্ট ম্যান মিলন এর সাথে যোগাযোগ করে তার ডিউটির সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি রাগান্বিত কন্ঠে বলেন এবিষয়ে আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সব জানেন।
পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিমলা এর সাথে যোগাযোগ করে তার ডিউটির সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি থাইরয়েড এর রোগী। আমি মাঝে মধ্যে ট্রেনে করে স্টেশনে যায় এবং ট্রেনে করে ফেরৎ আসি। আমার পরিবর্তে আমার ভাগ্নে শিব কাজ করে। আমার বেতন থেকে আমি প্রতি মাসে শিবকে বেতন দিয়ে থাকি।
রেলওয়ে স্টেশনে অনুপস্থিত থাকায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিগার সুলতানার অনুপস্থিতির বিষয়ে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সন্তান অসুস্থ । তাই যশোর কুইন্স হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহফুজুর রহমানের চেম্বারে আছি। তবে কুইন্স হসপিটালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত ডাক্তার বিকাল ৪টায় তার চেম্বারে বসেন। এছাড়াও সংবাদকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকিসহ হাত-পা ভেঙ্গে খুলনার ২৫০শ্যযা হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়ে চাইতে চাইলে তিনি অস্বিকার বরেন।