কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী যানবাহনে চালান পৌঁছে যাচ্ছে গন্তব্যে। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সম্প্রতি ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে গাজীপুরকে বেছে নিয়েছে কারবারিরা।
রাজধানীতে ইয়াবার চালান বেশি বেশি ধরা পড়ায় এবার পরিবহণ পথই পাল্টে ফেলেছে কারবারিরা। কক্সবাজার থেকে মাদকের গাড়ি ঢাকা মহানগর এড়িয়ে পুবাইল হয়ে চলে যাচ্ছে গাজীপুরে। টঙ্গি, শ্রীপুর, বোর্ড বাজার এলাকায় তাদের গোপন আস্তানা। সেখান থেকে ইয়াবার চালান পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ময়মনসিংহ বিভাগে।
কঠোর বিধিনিষেধে পণ্যবাহী যান ছাড়া সব পরিবহণ বন্ধ থাকায় ইয়াবার সরবরাহ ঠিক রাখতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের হাত করেছে কক্সবাজারের কারবারিরা। সম্প্রতি গাজীপুর যাওয়ার পথে উত্তরায় এই কাভার্ড ভ্যানটি থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা। চালকের সিটের নীচে পাওয়া যায় পনেরো হাজার ইয়াবা।
গ্রেপ্তার করা হয় কাভার্ডভ্যান চালক, সহকারী ও চালান বুঝে নিতে আসা ব্যক্তিকে। তারা জানায়, কক্সবাজার থেকে খালি গাড়িতে ইয়াবা তুলে দেন খোদ কাভার্ডভ্যানেরই মালিক।
কাভার্ডভ্যান চালক ওমর ফারুক বলেন,’মালিক বলছে এই খালি গাড়িটা নিয়ে তুমি ঢাকা চলে যাও। ঢাকা আসার পর আমাকে পুলিশ ধরেছে। এই গাড়ির মধ্যে ইয়াবা পেয়েছি। আমি এ সম্পর্কে জানি না। জানে মালিক।’
ইয়াবার চালান সংগ্রাহক কাওসার হোসেন জানান,’আমাকে বলছে ওমক গাড়ি আসবে। তুমি সেখান থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে আমরা কাছে নিয়ে আসবে। তার নাম নাতি জসিম।’
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত পরিবহণ শ্রমিকরা ইয়াবা পরিবহণে জড়ালেও ইদানিং মালিকরাও যুক্ত হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উত্তরা জোনাল টিম অতিরিক্ত উপ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু জানান,’বেশি ভাগ ক্ষেত্রে চালক এবং হেলপার মালিককে না জানিয়ে এই কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকে। তবে এখানে দেখা যাচ্ছে মালিকও জড়িত। সে নিজেই এই ব্যবসাটা পরিচালনা করে।’
পুলিশ বলছে, মাদক চোরাচালান অনেক বেড়ে যাওয়ায় পণ্যবাহী যানকে আর জরুরি সেবা বিবেচনা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সূত্র,ডিবিসি নিউজ