Type to search

উপজেলা আইন -–শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন ইউএনও

আইন ও আদালত আইন কানুন

উপজেলা আইন -–শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন ইউএনও

উপজেলা আইন -–শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন ইউএনও
অভয়নগরে ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি

মিজানুর রহমান, অভয়নগর
উপজেলা আইন- শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিল্প, বাণিজ্য ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ার ব্যস্ততম সড়কের  ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় জনপ্রাণে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যানজট নিরসনের জন্য অভয়নগরবাসী দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখলমুক্ত করার দবিতে আন্দোলন- সংগ্রাম করে আসছিলো। নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ধারাবাহিক অভিযানে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাজারে চলাচলের গলি দখলমুক্ত হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, নগওয়াপাড়ায় ভৈরব নদের তীরে নির্মিত ওয়াক ওয়ের ওপর, বাজারের চুড়ি পট্টি, কাপড়ের পট্টি, জুতা স্যান্ডেল পট্টি, কাঁচা বাজার সহ অনেক  গলিপথ দখল করে ব্যবসায়িরা নির্বিঘেœ ব্যবসা করে আসছিলো। এ ছাড়া নূরবাগ, স্বাধীনতাচত্বর, গরুহাটা এলাকার যানজট নিরসের জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য গত কয়েক দিন ধরে উপজেলা প্রশাসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান কালে দেখা গেছে অস্থায়ী দোকান গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ছে। অনেক ব্যবসায়ি ফুটপাত দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছিল, অভিযানে ওই সব স্থাপনা দ্রæত সরিয়ে ফেলার তাগিদ দেওয়া হয়। প্রশানের কড়া নজরদারিতে ব্যবসায়িরা এখন নিজ নিজ উদ্যোগে তা ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যে ভ্যান, নছিমুন নিয়ে যানজট সহ সেখানে অনেক অব্যবস্থাপনা ছিল, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সে সব নিরসন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে বাল্য বিবাহ দেওয়ার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে তিন জনতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে .এম. আবু নওশাদ গত দুই মাস হলো এখানে যোগদান করেছেন। গত মাসের উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তিনি ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব অনুযায়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রে ও উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) থান্দার কে তা বাস্তবায়ন করার জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে তিনি তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি আরো জানান ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদের পর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যা অভয়নগরবাসি দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন। এর আগেও আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অনেক বার তিনি ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু তখনকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তা আমলে নেন নি।
যশোর জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ মোল্যা বলেন,‘ নতুন ্ইউএনও সাহেব বয়সে তরুণ হওয়ায় ওনার কাজের স্প্রিহা অনেক, তিনি উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছেন। বাজরে ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ার পর যানজট অনেকাংশে নিরসন হয়েছে এছাড়া তিনি বৃক্ষ রোপন করার জন্য তালগাছ প্রেমী চিত্ত দাস ও কাওছার আলীর কে সহযোগিতা সহ উৎসহ দিচ্ছেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন। ইতো মধ্যে তিনি বহু বিদ্যালয় ভিজিট করেছেন। অনেক বিদ্যালয়ে অনিয়ম করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন,‘অভয়নগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করার জন্য মাঠে নেমেছি। অবৈধ স্থাপনা, খাদ্যদ্রবে ভেজাল, বাল্য বিবাহ রোধে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি এ ব্যপারে গোপনে তাকে তথ্য দেওয়ার আহবান করেছেন।