Type to search

অভয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযানে পরিবেশ বিধ্বংসী কাঠকয়লার শতাধিক চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে

অপরাধ

অভয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযানে পরিবেশ বিধ্বংসী কাঠকয়লার শতাধিক চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছে

নওয়াপাড়া অফিস
যশোরের অভয়নগরে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভৈরব নদীর গা ঘেসে গড়ে উঠা পরি্েশ বিধ্বংসী শতাধিক কাঠকয়লা চুল্লি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রেড ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) থান্দও কারুজ্জামান এর পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শতাধিক চুল্লি ধ্বংস করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হারুণ অর রশিদ, থানার উপসহকারি পুলিশ কর্মকর্তা সহ অনেকে।
এক্সিকিউটিভ ম্যজিস্ট্রেট জানান, এলাকা দুর্গম হওয়ার কারনে এখানে শতশত কাঠকয়লার চুল্লি গড়ে উঠেছে। ওইসব চুল্লিতে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন শতশত মন বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া কাঠ পোড়ানো ধোয়াতে এলাকার জনগণ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারনে কাঠকয়লার চুল্লি ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা গেছে ওই এলঅকায় শতাধিক চুল্লি বানিয়ে প্রতিদিন ৪শত থেকে ৫শত মন কাঠ পুড়ানো হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করছে। আশপাশের স্কুল-মাদ্রাসা ও বাজারের মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কতৃপক্ষ বার বার ওই সব অবৈধ কাঠ পুড়ানো চুল্লি গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে ধ্বংস করে দিলেও। তারা আবার ওই চুল্লি তৈরি করে দেদারসে আবার কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে যায়। ওই এলাকায় ১০০/১২০ টি অবৈধ চুল্লী তৈরি করেছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, প্র্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ৪শত থেকে ৫শত মণ কাঠ পোড়ানো হয়। পরে কয়লা গুলো বের করে ঠান্ডা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই সব অবৈধ পরিবেশ দূষণকারীদের কাছ থেকে স্থানীয় কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধিরা মাসিক মাসোয়ারার মাধ্যমে ওই অবৈধ সিন্ডিকেটকে কাঠপুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে।