Type to search

অভয়নগরে বরজ পোড়া চার কৃষক সরকারি অনুদান পাচ্ছেন ৯০ হাজার টাকা

অভয়নগর

অভয়নগরে বরজ পোড়া চার কৃষক সরকারি অনুদান পাচ্ছেন ৯০ হাজার টাকা

অভয়নগরে পান বরজ আগুনে পোড়া চার কৃষক সরকারি অনুদান পাচ্ছেন ৯০ হাজার টাক
নওয়াপাড়া অফিস
যশোরেঅভয়নগরে পান বরজ আগুনে পোড়া চার কৃষক সরকারি অনুদান পাচ্ছেন ৯০ হাজার টাকা। সবেমাত্র কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে ওই টাকা অনুমোদন হয়েছে। জেলা কৃষি কর্মকতার হাত ঘুরে উপজেলায় আসতে এখনো কিছুদিন সময় লেগে যাবে।
গত ৯ মার্চ যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভাগদি গ্রামে পানের বরজে অগ্নিকান্ডে চারজন কৃষক ব্যপক ক্ষতিগ্রহস্থ হয়েছিলেন। তাদের জীবন জিবিকার এক মাত্র উৎস ছিলো ওই বরজ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা হলেন ওই গ্রামের মৃত কালু মিয়া শেখের ছেলে মো.আবুল হোসেন, আলাউদ্দীন দেওয়ানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, মৃত কাওছারের ছেলে ইনামুল হক ইমা, স্বর্গীয় পরিমল বর্মণের ছেলে প্রদীপ বর্মণ।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবুল হোসেন জানান, সকালে বজরে কাজ করছিলাম ১১টার দিকে খাবার খেতে বাড়িতে আসি। এ সময় খবর আসে বরজে আগুন লেগেছে। খাবার ফেলে ছুটে আসি বরজে। এসে দেখি চারি দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী এগিয়ে আসে আগুন নেভাতে। কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে না। পরে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। ততক্ষনে চারজন  কৃষকের চার বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তাদের আয় রোজগারের একমাত্র অবলম্বন ওই পানের বরজ। প্রতিবছর খরচ বাদে তাদের দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লাভ থাকে। ফসল উঠার মুহূর্তে বরজ পুড়ে যাওয়ায় তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ তৈয়েবুর রহমান বলেন, যাদের বজর পুড়েছে তারা প্রান্তিক চাষী। একমাত্র বজর ছাড়া তাদের অন্য কোন আয় রোজগারের পথ নাই। পানের বরজ পুড়ে যাওয়ায় ওই কৃষকেরা নি:স্ব হয়ে গেছে।

কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় একটি চক্র গান পাউডার দিয়ে তাদের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে। ওই চক্রটি জমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদের জন্য এ কাজ করেছে। তারা নওয়াপাড়া সার কয়লা মোকামের এক জন বড় ব্যবসায়ির কাছ থেকে মোটা টাকার দালালি নিয়ে অবৈধ ভাবে জমি ক্রয় করে দিয়েছে। কৃষকেরা জমি না ছাড়ায় বরজ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, চার কৃষকের বজর পোড়ার পর ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করে কৃষি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য ৯০ হাজার টাকার অনুদান অনুমোদন করেছে। মন্ত্রনালয় অনুমোদনের পর সেটা জেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর হয়ে উপজেলায় আসবে। এতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি পুর্নবাসন বাস্তবায়ন কমিটির এক সভায় অনুদানের বিষয়টি অবহিত করা হয়।