Type to search

সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে

জেলার সংবাদ

সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে

অপরাজেয়বাংলা ডেক্স: ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জয়পুরহাট জেলায় দিন দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ।

গেল এক সপ্তাহে সংক্রমণ বেড়েছে ৩১ শতাংশ। অথচ ঈদের আগেও জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। সংক্রমণের এমন ঊর্দ্ধগতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি স্থানীয়দের।

জয়পুরহাটে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা ৩০ কিলোমিটার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ৫ শতাংশেরও কম।  কিন্তু ঈদের পর থেকে এ হার বাড়তে থাকে। মাস্ক ছাড়া অবাধ বিচরণ, আর স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে জেলার গরুর হাটে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি গতি বাড়িয়েছে সংক্রমণের।

গেল এক সপ্তাহে জেলায় ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জনের।  জেলায় বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশেরও বেশি। এলাকাবাসী জানান,’প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ এসেছে। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।’

মাস্ক না পরতে সাধারণ মানুষের নানা অজুহাত, বাড়াচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। তারা বলেন,’শরীর মুখ ঘেমে যাচ্ছে তাই মাস্ক পরি না। মাস্ক আছে কিন্তু পরে কাজ করা যায় না।’

করোনার ভয়াবহতা বিবেচনায় জেলার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ করার দাবি জনপ্রতিনিধিদের। জয়পুরহাট ক্ষেতলাল আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাদিম তালুকদার বলেন,’স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলার কারণে আলমপুর ইউনিয়নের একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। যদি সঠিক তদারকি থাকতো হয়তো বা তিনি মারা যেতেন না।’

জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ মুন্না জানান,’গরুর হাটগুলোর বিষয়ে সরকারের একটা ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। প্রশাসন এবং আমরা জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করছি মানুষকে বুঝানোর।’

সংক্রমণের ঊর্দ্ধগতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস সিভিল সার্জনের। জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী বলেন,’স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে তবে করোনা যদি বাড়তেই থাকে তবে পরবর্তিতে আমরা আরও কঠোর কোন সিদ্ধান্তে যাবো।’

সংক্রমণ রোধে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে নানা উদ্যোগের কথা জানালেন পুলিশ সুপার। জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা বলেন,’ভারত থেকে আসা মানুষের বিশেষ কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা আর ও জন্য আমাদের পুলিশের বিশেষ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’

শনিবার পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ৮৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।  মারা গেছেন ১২ জন।  আর সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ জন।সূত্র,ডিবিসি নিউজ