Type to search

আমি বেচেঁ থাকতে কোন শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে পড়তে পারবে না তা হবে না মেয়র রফিকুল ইসলাম

জাতীয় শিক্ষা

আমি বেচেঁ থাকতে কোন শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে পড়তে পারবে না তা হবে না মেয়র রফিকুল ইসলাম

মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ,ভোলা প্রতিনিধি: আমি বেচেঁ থাকতে কোন শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে পড়তে পারবে না তা হবে না ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বিস্তারিত : ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শামিম, রায়হান ও ইসমাইল নামের তিন অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার ঐ অসহায় মেধাবী তিন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকে ১১,০০০/- (এগারো হাজার) টাকা করে প্রাথমিক ভাবে ভর্তি, বই, খাতা-কলম ও ইউনিফর্ম কেনার প্রদান করেন পৌর মেয়র। এ অর্থ পেয়ে ঐ তিন শিক্ষার্থীর চোখে অনাবিল প্রশান্তির অশ্রু ঝড়ে। তাদের স্বপ্নপূরণে আর কোন বাঁধা নেই। কারণ তাদের পড়ালেখার খরচ নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই। এবার শুধু পড়ালেখায় মনোনিবেশন করা এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতি তথা অসহায় বাবা-মায়ের কল্যানে কাজ করা। ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মো. শামিম ও মো. রায়হান এবং বোরহানউদ্দিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মো. ইসমাইল জিপিএ ৫.০০ (A+) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। তবে এদের কারো পরিবারে আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। একবেলা দু-মুঠো খাবারের জোগানে পরিবারগুলো হিমশিম খেত, মানুসিক দুঃচিন্তা আর অভাব-অনটন ছিলো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। জানা যায়, শামিমের বাবা কুলি মজুর ছিলো কিন্তু এক দুর্ঘটনায় সে পঙ্গু হয়ে যায়। বাবার ঔষধের খরচ যোগাতে দিশেহারা শামিম। অন্যদের বাড়ির সুপারি পেরে পাওয়া সুপারি বিক্রি করেই সে টাকা দিয়ে চলতো ঔষধ। অপরদিকে রায়হানের বাবা রিক্সা ভ্যান চালিয়ে কোন পরিবারে সকলে ব্যায়ভার বহন ব্যর্থ। এত কিছুর মধ্যেও কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে তারা দুজনে উত্তীর্ণ হয় যা সকলে নজর কেরে নেয়। একই রকম অবস্থা ইসমাইল এর। অসহায়, দরিদ্র ইসমাইল বোরহানউদ্দিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খুবই মেধাবি ছাত্র। কিন্তু তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা অস্বচ্ছল। শত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম তারা তিন জনই ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর জিপিএ ৫.০০ পেয়েছে। কিভাবে চলবে তাদের পরবর্তী জীবন? পড়ালেখা নয় এখন তো তাদের বেঁচে থাকাই দুষ্কর! এমন হৃদয়বিদারক তথ্য নিয়ে তাদের নাম সহ ছবি ছাপা হয় মানবজমিন, যুগান্তর, প্রথম আলো সহ অনেক পত্রিকায়। পত্রিকায় এরকম খবর চোখে পরে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম এর। তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেন। পরদিন বেলা এগারোটায় তিনজনই তাদের পরিবার সহ মেয়রের সাথে দেখা করেন। এসময় মেয়র তাদের সকল কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে ছলছল চোখে তাদের তিন জনেরই পড়ালেখার সকল দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেন। তিনি বলেন আমি বেচেঁ থাকতে কোন শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে পড়তে পারবে না তা হবে না কখনো। জানা যায় শামিম, রায়হান আর ইসমাইলদের পরিবারের সবার চোখে আনন্দ অশ্রু ঝড়ে। তারা এখন নিশ্চিত তাদের পড়ালেখায় আর অভাব তাড়া করবে না। শুধু তাই নয় এরকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম এর। তিনি প্রতি বছর বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গরিব অসহায় ১০০ জন ছাত্রির স্কুলের পোষাক নিজের টাকায় তৈরী করে দেন। এছাড়াও তিনি বোরহানউদ্দিন পৌরসভাকে তার নিজের বাড়ির মত করে সাজিয়েছেন। চলমান করোনা মাহামারীতে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, সুখে-দুঃখে সাধারণ জনগণের মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। এরকম মহান, নির্ভিক, নির্লোভ নেতা পেয়ে বোরহানউদ্দিন পৌরবাসী সন্তুষ্ট।

Tags:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *