আটকের ৪ ঘন্টাপর মুক্তি মিলল আ’লীগ নেতার

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি \
জামাত বিএনপি নাশকতা মামলার তদবির সহ দলীয় শৃঙ্খলা ভংগের দায় পুলিশের হাতে আটকের ৪ঘন্টা পর মুক্তি মিলেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক আ”লীগ নেতার। রবিবার সকালে তাকে পাটকেলঘাটা থানার দাদপুর মেল্লেকবাড়ী বাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তালা উপজেলা আ”লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমারের জিম্মায় মুক্তি মেলে বলে স্থানীয় আ”লীগ নেতাদের দাবী। অভিযুক্ত ফিকুল ইসলাম পাটকেলঘাটা থানার রাঢ়ী পাড়া গ্রামের মৃত শহিদুল মোড়লের ছেলে ও কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের২৩ জানুয়ারী সোমবার সকালে পাটকেলঘাটা থানার নাশকতা মামলার আসামীদের জামিন করানোর জন্য আদালতে হাজির হন রফিকুল ইসলাম। ওই সময় একজন উৎসুক ব্যক্তি ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করেন। পরিবর্তে সেটি স্থানীয় পত্রিকায় সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে আদালতে আসামীদের সাথে গভীর সখত্যা দেখা যায় রফিকুলের। মামলার সুত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর রাতে পাটকেলঘাটা থানার এস আই আমির হোসেন বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৩৫/৪০ জনকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এছাড়া নাশকতা ঘটানোর মূল পরিকল্পনাকারী ওই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুদ্দীন। মামলার আসামীরা সকলে জামায়াত ও বিএনপি’র সক্রিয় নেতাকর্মী বলে সুত্রে জানা যায়।এদিকে ঘটনার দিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে হাফিজুর সরদার (৩০), মালেক সরদার (৫৫), সেলিম হোসেন (৪০), মাও: সাইফুদ্দীন (৪৮), আজিজুল সরদার (৪৫), আব্দুল হাই, মাও: (৪৫), ইদ্রিস আলী মোড়ল (৪৫), জাকির মাও: (৪২) ও আব্দুর রাকিব (৪৮) ওই দিন আদালতে সহযোগী হিসাবে রফিকুল ইসলামকে দেখা যায় বলে স্থানীয় একটি সুত্রের দাবী। কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতা পাওয়ার পর আ”লীগ নেতা রফিকুল বেপরয়া হয়ে ওঠেন। বর্তমানে কুমিরা এলাকায় জমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে লোকজনকে জিম্মী করে টাকা আদায় করে বেড়াত।
তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাকে বিভিন্ন সময় লাঞ্ছিত হতে হয়েছে । একসময় তার টালির ঘর ছিল বর্তমানে সে তিন তালা বাড়ির মালিক।তার এই অপকর্ম বন্ধ হয় বহিষ্কার দাবীতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। কুমিরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান মিঠু বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে জামাত বি এনপির দোশর হয়ে তাদের ধিক্কার জানায়। কুমিরা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দলীয় পদে থেকে জামাত বিএনপির দোশর হয়ে কাজ করেন। এছাড়া তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা সহ নিয়োগ বানিজ্য করে গড়ে তুলেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি। এছাড়া অবৈধ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনও নাশকতা মামলার আসামীদের পক্ষে নন । তবে সেদিন ব্যক্তিগত কাজে এ্যাড. তপন এর সাথে দেখা করতে গেলে আসামীদের সাথে দেখা হয়েছিল। তাকে নিয়ে মিথ্যাচার সহ রাজনৈতিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থনেশী মহল গুজব ছড়াচ্ছে।পুলিশ আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে জানাশোনার জন্য তাকে ডেকেছিল। বাড়ি ও জমির বিষয়ে প্রস্ন ছুড়ে দিলে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হন নি। বিষয়টি নিয়ে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি)কাঞ্চন কুমার রায়ের সাথে কথা বললে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।