Type to search

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার ৪জন স্বাক্ষীর জেরা জবানবন্দি সম্পন্ন

আইন কানুন জাতীয় জেলার সংবাদ

কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার ৪জন স্বাক্ষীর জেরা জবানবন্দি সম্পন্ন

অপরাজেয় বাংলা ডেক্স
২০০২ সালের ৩০শে আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার ৪জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রোববার দিনভর সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর এই স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। 

রোববার স্বাক্ষী ইয়ারব হোসেনের স্বাক্ষ্য ও জেরা জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। একই সাথে পূর্বের স্বাক্ষ্য নেয়া আমিনুল ইসলাম লাল্টু, সাজেদুর রহমান খান মজনু ও মুক্তিযোদ্ধা শওকাত হোসেনের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আজকের মত আদালত মুলতবি ঘোষণা করে আগামীকাল সোমবার ফের দিন ধার্য করেন আদালত।

এদিকে রাষ্ট্রোপক্ষের সহযোগিতাকারি অতিরিক্ত এ্যাটর্ণি জেনারেল এসএম মুনির জানান, আজ মামলাটি মুলতবি করা হয়েছে। নির্ধারিত দিন সোমবার আরও ৪জন স্বাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আসামী পক্ষের আইনজীবিরা আদালতের মধ্যে স্বাক্ষ্য কার্যক্রম চলার সময় নানাভাবে বাঁধার সৃষ্টি করেছেন।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফকে সহযোগিতা করেন, অতিরিক্ত এ্যাটর্ণি জেনারেল এসএম মুনিরসহ কয়েকজন। অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আব্দুল মুজিদকে সহযোগিতা করেন ব্যারিষ্ট্রার মাহাবুব উদ্দীন খোকন, সাতক্ষীরা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামসহ কয়েকজন।

 

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০শে আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উলে­খ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ই মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উলে­খ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আসামীপক্ষের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২শে অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যহত আছে।

 

সূত্র, DBC বাংলা