Type to search

কেশবপুরে হরিহর নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশংকা

কেশবপুর

কেশবপুরে হরিহর নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশংকা

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর যশোর:
যশোরের কেশবপুরের হরিহর নদের পাড়ে বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে নদীর পাড় সমান হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি উপচে ফসলি জমি জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসি। গত বছর নদী খনন করে দুপাড়ে উচু করে বাধ দেয়ায় ঐ এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া বাধে মাটি ট্রলিতে করে বহনের কারণে এলাকার রাস্তাগুলোও নষ্ট হচ্ছে। এ ভাবে মাটি কাটায় ভ্র্যাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরেজমিন ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়, জনৈক ব্যক্তি হরিহর নদীর কেশবপুর পৌর এলাকার মধ্যকুল থেকে গত কয়েক দিন ধরে ২০ থেকে ৩০ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে ৭/৮টি ট্রলিতে করে বহন করছে। এলাকাবাসী জানান, প্রায় দেড় যুগ জলাবদ্ধ থাকার পর নদী খনন করে নদীর পাড় উঁচু করায় গত বছর বৃষ্টিতে নদী এলাকায় কোন জলাবদ্ধতা হয়নি। মূলত হরিহর নদী দিয়ে উজানের বিশেষ করে যশোর শহর, ঝিকরগাছা ও মণিরামপুর এলাকার পানি নিষ্কাসন হয়।সম্প্রতি হরিহর নদের খনন করা মাটি কেটে চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে পুনরায় এলাকায় জলাবদ্ধতার আশংকা তৈরি হচ্ছে। গতকাল শনিবার পৌরসভার মধ্যকুল এলাকার কর্মকার পাড়ায় হরিহর নদের মাটি কেটে ট্রলিতে করে বিক্রি করা দেওয়া হচ্ছিল। কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই মাটি কাটা হচ্ছে বলে এলাকার মানুষ অভিযোগ করেন। উচু মাটির বাধ কেটে সমতল করা হচ্ছে। এলাকার রেনু (৪০) নামে এক নারী দাবি করেন তার নদের পাড়ে দুই বিঘা জমি রয়েছে। তার নিজস্ব জমিতে মাটি রয়েছে বলে তিনি মাটি কেটে পরিষ্কার করছেন।  অনুমতি ছাড়া সরকারি মাটি বিক্রি করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ বলেন, রেনু তার কাছে মাটি বিক্রি করেছেন। সামাদ আরও জানান, তিনি প্রতি ট্রলি ২’শ২০ টাকা দরে কেশবপুর শহরে বিক্রি করছেন। তিনি স্বীকার করে বলেন, গত ৬/৭ দিনে পর্যন্ত ৮৫ ট্রলির বেশী মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। মধ্যকুল এলাকার আলতাফ হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে নদী উপচে পড়ে ফসলি জমি জলমগ্নে হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি) আরিফুজ্জমান বলেন, হরিহর নদের মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ভ্র্যাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাটি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কেটে নেওয়া মাটি পুনরায় ভরাট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।