Type to search

১০৭ অবৈধ চুল্লিতে পোড়ে কাঠ; উজাড় হচ্ছে বন

অভয়নগর

১০৭ অবৈধ চুল্লিতে পোড়ে কাঠ; উজাড় হচ্ছে বন

স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের অভয়নগরে ১০৭টি চুল্লিতে ফলজ ,বনজ গাছ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে। বার বার অভিযন করেও বন্ধ হচ্ছে না কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন। এতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের আমতলা ও সোনাতলা এলাকায় এসব ও চুল্লি গড়ে উঠেছে। এলাকার অনেকের অভিযোগ ৫/৬ বছর আগে গুটি কয়েক ব্যক্তি কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি ও বিক্রি করে আসছে। বর্তমানে তার সংখ্যা দাড়িয়েছে অনেক। তারা ১০৭টি চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছে। ওই এলাকায় ঘন জঙ্গল থাকায় ও এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় অসাধু ব্যক্তিরা এখানে অবৈধ ভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে। এসব চুল্লিতে বছরের পর বছর পোড়ানো হচ্ছে বাগানের গাছ। তারা ফলজ ,বনজ গাছ কেটে অবৈধভাবে কয়লা উৎপাদন করে যাচ্ছে দেদারচ্ছে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ অঞ্চলে ১০৭টি চুল্লি তৈরি করে কয়লা তৈরি হচ্ছে।তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদতো দূরের কথা মুখ খুলতেও সাহস করেনা কেউ। মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা চুল্লিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ কাঠ পোঁড়ানো হ”্ছ।ে এখানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, দাতব্য চিৎিসালয়,পানবরজ ও ক্ষেতখামার রয়েছে। এ গুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ট্রলিতে করে কাট আনা হচ্ছে। ওই কাঠ মাটির কাঁচা চুল্লিতে পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতিবার ২শ থেকে ৩শমণ কাঠ পোঁড়ানো হয়। কাঠ পুঁড়ে কয়লা হয়ে গেলে সে গুলো বের করে ঠান্ডা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দুইবার অভিযান চালিয়ে চুল্লিগুলো গুড়িয়ে দিলেও বন্ধ হয়নি এ অবৈধ ব্যবসা। প্রতিবারই আরও নতুন নতুন চুল্লি তৈরি হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে অন্য দিকে উজাড় হচ্ছে গাছপালা। স্থানীয়রা শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগে ভুগছে। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর নানা হুমকি ধামকি নেমে আসে। ইউপি সদস্য জিয়া মোল্যা বলেন, উপরমহলকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ কাজ হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) থান্দার কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি জেনেছি। কয়েক মাস আগে আমরা ওই অবৈধ কয়লা উৎপাদন চুলা ড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। দ্রæত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রশাসন ,থানা পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় এর আগে ১০৪টি অবৈধ চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছিলাম। তারা আবার চুল্লি তৈরি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।