হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ শনিবার

ধর্ম অবমাননার জিগির তুলে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরের সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের অপ্রয়াস, অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি, ধর্মপ্রাণ শহিদুন্নবীকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
অন্য দাবিগুলো হচ্ছে-গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের আশু মুক্তি, শো-কজ নোটিশ প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি চলবে।
বিদ্যমান সংখ্যালঘু পরিস্থিতি তুলে ধরে রানা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা ভেবেছিলাম করোনা ভাইরাস অতিমারী সমাজকে অনেক বেশি মানবিক করবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিগত ৮ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেখে শুনে মনে হয় ব্যতিক্রমবাদে সমাজের মানবিকতা অনেক বেশি নিম্নগামী হচ্ছে। একদিকে নারী, আরেক দিকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মকে হেয় করে, তাদের ধর্মানুভূতিতে প্রতিনিয়ত আঘাত করে নানান অপপ্রচার বল্গাহীনভাবে চালানো হচ্ছে।
মার্চ-সেপ্টেম্বর ৭ মাসের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে হত্যার শিকার হয়েছেন ১৭ জন। হত্যাচেষ্টার শিকার ১০ জন। হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ১১ জনকে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ৩০ জন। ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ৩ জন। শ্লীলতাহানির কারণে আত্মহত্যা ৩ জনের। অপহরণ ২৩ জন। নিখোঁজ ৩ জন। প্রতিমা ভাংচুর ২৭টি। মন্দিরে হামলা ২৩টি। শ্মশান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি দখলের ঘটনা ৫টি। বসতভিটা, জমিজমা ও শ্মশান থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ২৬টি। দেশত্যাগের হুমকি ৩৪ জনকে। গ্রামছাড়া ৬০ পরিবার। ধর্মান্তকরণ ৭ জন। মহানবীকে (স.) কটূক্তির মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৪ জনকে।
ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিথি সরকার ২৮ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তাকে উদ্ধারের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।
সূত্র, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম