Type to search

সরকার নিরুপায় হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে: কাদের

জাতীয়

সরকার নিরুপায় হয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে সরকার নিরুপায় হয়ে মূল্যবৃদ্ধি করেছে।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে সরকার আবারও জ্বালানি মূল্য সমন্বয় করবে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরে বাসভাড়া সমন্বয় করেছে সরকার। নির্ধারিত এই ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। যার ফলে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে, এতে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে ২২ ফেব্রুয়ারি ২২ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা, এই প্রেক্ষাপটে সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সরকার এর আগে গত ৪ নভেম্বর মূল্য সমন্বয় করেছিল। তার আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা সত্য, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে। সরকার এ বিষয়টি সক্রিয়  বিবেচনায় রেখে নেতিবাচক প্রভাব নিম্নপর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট।

স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান, কৃষি উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির বিবেচনায় নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে শিগগির জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, সেটা আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া সমন্বয় করা হয়। কোনো পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘সরকার দানবে পরিণত হয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে এ দেশে মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা এবং জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপিই মূর্তিমান দানবে রূপ নিয়েছে। যারা হত্যার রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে রাজনীতি শুরু করে তারাই দানব, তারা দানবের চেয়েও ভয়ংকর। যাদের দুর্নীতির দুর্গন্ধে ভূত পালায় তারাই সরকারের সব কাজে দুর্নীতির দুর্গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।