Type to search

নওয়াপাড়য় রেলওয়ের জমি থেকে মাছ বাজার উচ্ছেদ বদ্ধের দাবিতে স্মারক লিপি

অভয়নগর

নওয়াপাড়য় রেলওয়ের জমি থেকে মাছ বাজার উচ্ছেদ বদ্ধের দাবিতে স্মারক লিপি

মিজানুর রহমান, অভয়নগর প্রতিনিধি
অভয়নগর নওয়াপাড়া বাইপাস সড়কের রেলওয়ের জমি থেকে মাছের আড়ৎ উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাছ বাজার সমবায় সমিতির পাইকারী ব্যবসায়ীরা বুধবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করে। যশোর জেলা প্রশাসক মো.তমিজুল ইসলাম খান’র হাতে স্মারক লিপি তুলেদেন সংগঠনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপদেষ্টা আলী হোসেন। একয় সময় যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভয়নগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) থান্দার কামরুজ্জামান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শামীম হাসান এর দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করে নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাছ বাজার সমবায় সমিতির পাইকারী ব্যবসায়ী নেতৃবন্দ। এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাছ বাজার সমবায় সমিতির সহ-সভপতি আব্দুর রশিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক শরিফ শিকারী, কোষাধ্যক্ষ সুজন, প্রচার সম্পাদক রাজু সহ প্রমুখ।
নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাছ বাজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান এই প্রতিবেদককে জানান, বিভাগীয় ভ‚-সম্পত্তি বাংলাদেশ রেলওয়ে (পাকশী) হতে নওয়াপাড়া মৌজার জে এল নং-৩২ বাণিজ্যিক ডিসিআর লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে আমরা সকলে ২০১৪ সাল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। এই বাজারে ছোট বড় মিলে পাঁচশ পরিবারে সংসার চালে।
তিনি আরোও বলেন, আমরা নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করে থাকি। তাহলে পৌরসভার পক্ষ থেকে এতো দিন পরে এই বাজারকে অবৈধ বলা হচ্ছে কেনো তা আমার বোধগম্য নয়।
নওয়াপাড়া পৌরসভার নোটিশ স‚ত্রে জনা যায়, গত ৬ এপ্রিল ২০২৩ পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তালতলাস্থ নিজস্ব সম্পত্তিতে নতুন নির্মিত মাছ বাজারটি চালু করার নিমিত্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় অবস্থিত রেল স্টেশন সংলগ্ন অবৈধ পাইকারী মাছ বাজারটি উচ্ছেদ এর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মাছ বাজার উচ্ছেদ নোটিশে স্বাক্ষকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (ভারপ্রাপ্ত মেয়র) বলেন, পৌর সভার নিজস্ব একটি মাছের বাজার থাকার দরকার। সে বিষয়ে পৌর পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তালতলাহাট নামক স্থানে এই মাছের বাজটি স্থানন্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি বাজটি সরালে পাইকার এবং খুচড়া বেচাকেনায় ধস নামবে। এবং আর্থীক ক্ষতির আশংকায় তারা যেতে চাইছে না। উচ্ছেদ অভিযান কবে হবে জানতে চাইলে তিনি এর কোন উত্তর দেননি।