Type to search

গ্যাস লাইট দিয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর

গ্যাস লাইট দিয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে জামায় গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িযে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারী মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। নির্যাতিত ওই নারীর নাম আয়শা আক্তার তিলা(২৪)। তিনি ওই গ্রামের রউফ শিকদারের ছেলে ইমরান শিকদারের স্ত্রী এবং অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের দিনমজুর হায়দার শেখের মেয়ে।
আয়শা আক্তারের পিতা জানায়, সাত বছর আগে পারিবারিক ভাবে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাই ইমরান একের পর এক যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। গত কয়েক দিন ধরে মোবাইল কেনার জন্য টাকা দাবি করে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন বিদ্যুত বিল নিয়ে কথা কাটির এক পর্যায়ে তার মেয়েকে লাঠি দিয়ে পেটায়। এতে তার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে ইমরার তার মেয়েকে গ্যাস লাইট দিয়ে জামায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় মেয়ের এক চাচী শ^াশুড়ী আয়শাকে নিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে আয়শার পিঠের অনেক অংশ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে তারা মেয়েকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রকিবুল ইসলাম বলেন, আগুনে আয়শা আক্তারের শরীর অনেক অংশ পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন বলেন, আমি স্ত্রীকে ওই দিন লাঠি দিয়ে মার ধর করেছিলাম। কিন্তু তার গায়ে আগুন দেয়নি। আমি ঘুমিয়ে পড়লে সে গ্যাস লাইট দিয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, স্বামীর দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘটনা নিয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ওই মেয়ের পিতা আমার কাছে এসেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়া উপজেলার মধ্যে তাই এ ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হবে। আমি ওনাকে কালিয়া থানায় যেতে বলেছি। কালিয় থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ ঘটনায় আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।