Type to search

 কেশবপুরে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে  গোবিন্দপুর গ্রামবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

কেশবপুর

 কেশবপুরে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে  গোবিন্দপুর গ্রামবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর
যশোরের কেশবপুরে ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসী স্টাইলে মারপিটের ঘটনায় ফুসে উঠেছে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষ। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে গোবিন্দপুর বাজারে শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এ কর্মসূচিত ৫ শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেয়া
অনেকেই ওই সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছেন। ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস
পায়নি। বাজারের সকল ব্যবসায়ী ও গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির
মাধ্যমে নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা ও শান্তিতে বসবাসের ব্যবস্থার দাবি জানান।
মানববন্ধনে নেতৃত্বে দিয়েছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ী মিলন হোসেন। ঘন্টাব্যাপী চলা এ
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গোবিন্দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান, রজব আলী, রফিকুল ইসলাম, ডাক্তার গোলাম মোস্তফা, হযরত আলী, অব্দুল গনি, গোবিন্দপুর বাজার মসজিদের ইমাম নজরুল ইসলাম, নারগিছ বেগম, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর গ্রামের একদল যুবক দীর্ঘদিন ধরে এ বাজারের ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও মারপিট করে জিম্মি করে রেখেছেন। বাজারের দোকান থেকে বাকি মালামাল নিয়ে টাকা না দিয়ে উল্টো দোকানদারদের হুমকি ও মারপিট করে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। যে কারনে
তাদের অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। মঙ্গলবার পাওনা টাকা নিয়ে স্থানীয়
গন্যমান্য ব্যক্তিরা একটি শালিশের আয়োজন করেন। শালিশ বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্ত সানা, বিল্লাল সানা, জিল্লু সানা ও নাজমুল সানা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে
ঔষধ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির রাসেল ও আব্দুল গনিকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এরধ্যে গুরুতর আহত হমায়ুন কবির রাসেল যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাথায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও আহত আব্দুল গনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে কেশবপুর থানায় বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। চিকিৎসাধীন থাকা হুমায়ুন কবির রাসেলের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানায়। একেরপর এক হামলা , মারপিট ও হুমকির ঘটনায় গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি
পালন ও বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।